বাণিজ্য ডেস্ক :
বাজারে তেলের সংকট কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ঈদের আগে থেকে সরবরাহ বন্ধ থাকায় ঈদের পর রাজধানীর বাজারে উধাও সয়াবিন তেল। এতে চরম সংকটে পড়েছেন ভোক্তারা। এদিকে ঠিক কবে নাগাদ কোম্পানি তেল দেবে, তাও জানেন না ব্যবসায়ীরা।
ভোজ্যতেলের তেলেসমাতি কারবার কবে শেষ হবে, সাধারণ মানুষের কাছে তা অনেকটাই অজানা। রমজানে নানা পদক্ষেপে তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা গেলেও ২৭ রমজান থেকে শুরু হওয়া সংকটের ধারাবাহিকতায় ঈদের পর রাজধানীর বাজারে উধাও সয়াবিন তেল। প্রয়োজন সাপেক্ষে মোহাম্মদপুর টাউনহল মার্কেটে আসা ক্রেতারা ভোজ্যতেল না পেয়ে নিজেদের ভোগান্তির কথা জানান।
রমজানের আগে থেকেই সয়াবিনের সরবরাহ বন্ধ বলে জানান এ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। বাজারে সয়াবিন সংকট, তবে রাইসব্যান ও সানফ্লাওয়ার তেল পাওয়া গেলেও গত রমজানে ৫ লিটারের বোতলে ১০০ টাকা দাম বেড়েছে বলে জানান তারা।
একই অবস্থা কারওয়ান বাজারে। অন্যান্য তেল বাজারে পর্যাপ্ত থাকলেও নেই সয়াবিন তেল। কালেভদ্রে এক দুই লিটারের বোতল সরবরাহ করলেও সঙ্গে অন্যান্য পণ্য নিতে কোম্পানি থেকে বাধ্য করা হয় বলে জানান বিক্রেতারা।
কোম্পানি পর্যায়ে তেল থাকলেও কয়েকদিন পরে বেশি দামে তেল বিক্রির আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে বৃহস্পতিবার (৫ মে) প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৮০ টাকা এবং বোতলজাত সয়াবিনের দাম ১৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
এছাড়া পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯৮৫ টাকা এবং পাম সুপার তেলের দাম ১৭২ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার।
ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবনার যৌক্তিকতা তুলে ধরে বাণিজ্য সচিব (সিনিয়র) তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ায় দেশের বাজারে কমানো সম্ভব নয়।