জাতীয় ডেস্ক :
নওগাঁর সাপাহারে নতুন ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে প্রশাসনের সহায়তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁ জেলা টেলিভিশন অ্যাসোসিয়েশনের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
চাঁদাবাজদের তৎপরতা ও তাদের দ্বারা নির্যাতনের কাহিনি তুলে ধরেন ওই ব্যাংক কর্মকর্তা। এ সময় তার স্ত্রী ও তিন শিশুসন্তান উপস্থিত ছিল।
আব্দুল্লাহ আল মামুন লিখিত বক্তব্য বলেন, এক বছর আগে সাপাহার সদরে তার পৈতৃক পুরোনো দ্বিতল ভবন ভেঙে নতুন ভবন করতে যান তিনি। এ সময় সাপাহারের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আকবর আলী, সাপাহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল আলম সুলতান, শাহাদাত ও বিএনপি নেতা মুরাদ ভবন নির্মাণে বাধা দেন। তারা মামুনের কাছে লোক পাঠিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় কাজ বন্ধ করে দেন এবং বিপুল অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন।
পরিস্থিতি বিবেচনায় কোনো ঝামেলায় জড়াবেন এমন সরলতায় চাঁদাবাজ বাহিনীকে কয়েক দফায় তিনি পাঁচ লাখ টাকা তুলে দেন বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন। কিন্তু তারপরও আরও তিন লাখ টাকার দাবিতে গত ২০ এপ্রিল ১০-১২ জনের চাঁদাবাজ বাহিনী নবনির্মিত ওই বাড়িতে যায়। এ সময় টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তারা বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। তারা বাসার সিসিটিভি ভেঙে আলামত নষ্ট করার চেষ্টা চালায়।
এ ব্যাপারে ওই দিনই সাপাহার থানায় অভিযোগ দিতে যান মামুন। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেকুর রহমান অভিযোগ না নিয়ে উল্টো তাকে হয়রানি করেন বলে সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন তিনি।
চাঁদাবাজদের দাবি পূরণ না হওয়ায় অব্যাহত প্রাণনাশের হুমকিতে তিনি পরিবার নিয়ে বাসা ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন রাজশাহীতে। অগ্রণী ব্যাংকে চাকরি করা আব্দুল্লাহ আল মামুন সংবাদ সম্মেলনে মানবিক দাবি ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এ ব্যাপারে সাপাহার থানার ওসির সঙ্গে কথা বললে ভুক্তভোগীর কোনো অভিযোগ পাননি জানিয়ে উল্টো অভিযোগ করেন তিনি। তবে অভিযোগ পেলে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা বেবেন বলে আশ্বাসও দেন ওসি তারেকুর রহমান।