খেলাধূলা ডেস্ক :
গুঞ্জন ছিল অনেক আগে থেকেই। এবার পাওয়া গেল আনুষ্ঠানিক বার্তা। স্প্যানিশ দৈনিক মার্কার বরাতে জানা গেছে, পিএসজি এরই মধ্যে সার্জিও রামোসকে ‘না’ বলে দিয়েছে। তার মানে আসছে মৌসুমে সাবেক রিয়াল মাদ্রিদের এ অধিনায়ককে আর রাখছে না প্যারিসের জায়ান্টরা।
যদিও আগামী ২০২৩ সাল পর্যন্ত রামোসের সঙ্গে চুক্তি ছিল পিএসজির। তবে চোটে জর্জরিত এই ফুটবলারকে আর রাখতে চায় না প্যারিসের জায়ান্টরা।
লা প্যারিসিয়ান জানিয়েছে, ৩৬ বছর বয়সি রামোসকে ক্লাব ছাড়ার বার্তা ইতোমধ্যে দিয়ে দিয়েছে পিএসজি। উল্লেখ্য, রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে প্যারিসে যোগ দেয়ার পর বেশিরভাগ ম্যাচেই তিনি কাটিয়েছেন সাইড বেঞ্চে বসে।
পিএসজি ছাড়তে চান না রামোস
ক্লাব তাকে ছেড়ে দিতে চাইলেও ছাড়তে চান না রামোস। পার্ক দ্য প্রিন্সেসে নিজের পজিশনের জন্য লড়াইটা করতে চান।
ইনজুরির কারণে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের একটি ম্যাচেও খেলতে পারেননি রামোস। যদিও মর্যাদার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অধরা শিরোপা খরা কাটাতেই বার্সেলোনা থেকে লিওনেল মেসিকে উড়িয়ে আনার পর প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ থেকে তাকে দলে টানা হয়।
এর আগে সার্জিও রামোসের পিএসজিতে যোগ দেওয়া নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করেছিলেন দলটির সাবেক ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভা।
ইএসপিএন ব্রাজিলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সিলভা বলেছিলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে রামোসের সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। কিন্তু যে বয়সে পিএসজি তার সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি করেছে, সেখানেই আমার আপত্তি। কারণ আমাকে একই বয়সে পিএসজি ছাড়তে হয়েছে। নতুন করে সুযোগ দেয়া হয়নি। পুরো বিষয়টি নিয়ে এখনো আমি কাউকে কিছু বলতে পারিনি, কারণ আমি আপসেট। আমার এখন মনে হচ্ছে হয়তো আমি ক্লাবের হয়ে কিছুই করতে পারিনি। তাই আমাকে মূল্যায়ন করা হয়নি।‘
থিয়াগো সিলভা নিজের আবেগ আর ধরে রাখতে পারেননি। বলেন, ‘৮ দিন বা ৮ মাস নয় পিএসজিতে আমি গুণে গুণে ৮ বছর সময় অতিবাহিত করেছি। ক্লাবের হয়ে অনেক জয়ের সাক্ষী থেকেছি। শিরোপা ঘরে তুলেছি। আজকের পিএসজির শক্তিশালী অবস্থানের পেছনে ওই ৮ বছরে সামান্য হলেও ভূমিকা রাখতে পেরেছি বলে মনে করি।‘
এর আগে রামোসকে কেনার সমালোচনা করেছিলেন পিএসজির সাবেক খেলোয়াড় জেরোমি রোথেন। রোথেন বলেন, রামোসের বয়স হয়েছে। ইনজুরি থেকে ফিরে সে কি আবার টপ লেভেলে খেলতে পারবে? আমার এটি নিয়ে অনেক সন্দেহ হয়। সে যখন প্যারিসে আসে তখন অনেকেই বলেছিল রামোস পিএসজির মানসিকতা বদলে দেবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ফরাসি ক্লাবটির ডিফেন্স মার্কুইনহোস ও প্রেসনেল কিম্পেম্বের কাঁধে।
রোথেন যোগ করেন, রামোস যদি মানসিকতায় পরিবর্তন না আনতে পারে তাহলে তাকে কেন প্রয়োজন হবে! এই জন্যই আমি মনে করি রামোসকে কেনা পিএসজির জন্য খারাপ সিদ্ধান্ত।
সবার মন্তব্য পেছনে ফেলে রামোসকে উড়িয়ে আনা হলেও তার সুফল পায়নি পিএসজি। চোটের সঙ্গে লড়াইরত রামোস বলতে গেলে পিএসজি অধ্যায়টা কাটাচ্ছেন সাইড বেঞ্চে বসেই।