স্টাফ রিপোর্টার, কেশবপুর (যশোর) :
যশোরের কেশবপুরের সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ভালুকঘর বিশ্বাস পাড়া এলাকায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক বসত ঘর নির্মাণ করে জমি দখলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রতিকারের জন্য জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও বিভন্ন মহলের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে বৃদ্ধ রজব আলী ।
জানা গেছে, মৃত দিদার শেখের ছেলে রজব আলী উপজেলার বারুইহাটি এলাকার বসবাস করেন। পৌতৃক সুত্রে তিনি ভালুকঘর মৌজার ৩৩৪ খতিয়ানের ১৯৬৪ আর এস দাগের ৯ শতক জমি পেয়েছেন। এর মধ্যে ৫ শতক জমিতে রজব আলী শেখের ছেলেরা বসবাস করে ভোগদখল করে আসছে। বাকি ৪ শতক জমিতে ফলজ ও বনজ গাছ রোপন করা রয়েছে। বসতবাড়ি না থাকায় ওই ৪ শতক জমি দখলে নিতে ভালুকঘর গ্রামের মৃত কাদের বিশ্বাসের ছেলে রহমত আলী, শওকত আলী, নিয়ামত আলী ও শাহাজান আলী দীর্ঘদিন ঘরে ষড়যন্ত্র করতে থাকে।
তারই সুত্র ধরে গত ০৭ মার্চ উল্লেখিতরাসহ একদল ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জমি দখলের চেষ্টা করে। এসময় এলাকাবাসীরা এগিয়ে আসলে সেটা ব্যর্থ হয়। এ ঘটনায় ভিত হয়ে রজব আলী যশোর আদালতে ওই জমিতে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। যার নং-২৬২/২২, তাং-০৯-০৩-২২। বিজ্ঞ আদালত ওই জমিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক কেশবপুর থানা পুলিশ ১১ মার্চ ওই জমিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে স্থানীয় মেম্বর আজিজুর রহমানের ইন্ধনে সোমবার (১৪ মার্চ) সকালে রহমত আলী গংরা একদল ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে টিনের ঘর নির্মান করে জোরপূর্বক দখল করে নেয়। সাতবাড়িয়া ইউপি সদস্য আজিজুর রহমানের আত্মীয় হওয়ায় তিনি বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে জমি দখলে সহযোগিতা করেন বলে রজব আলী জানান। এবিষয়ে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সাতবাড়িয়া ইউপি সদস্য আজিজুর রহমান বলেন, রহমত আলী গং তার আত্মীয় । একটি জরুরি কাজে সকালে ওদিকে গেলেও জমি দখলের ঘটনার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন।
এবিষয়ে ভালুকঘর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক ওয়ালিউল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক ওই জমিতে ১১ মার্চ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার খবর পাইনি, খবর পেলে সাথে সাথেই আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারতাম। তারপরো ঘটনাস্থলে যাবো ঘটনার সত্যতা পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।