হোম অন্যান্যসারাদেশ মণিরামপুরে একই রশিতে মা ও মেয়ের আলোচিত মৃত্যু, আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলার চার্জশিট দাখিল, স্বামী অভিযুক্ত

রিপন হোসেন সাজু, মনিরামপুর (যশোর) :

বহুলালোচিত মনিরামপুরের সুজাতপুর গ্রামের একই রশিতে মা ও মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় আত্মহত্যা প্ররোচনায় মামলার চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। নিহত প্রিয়া রানী মন্ডলের স্বামী কনার মন্ডলকে অভিযুক্ত করে নেহালপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই আতিকুজ্জামান যশোর আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেন। আসামি কনার মন্ডল সুজাতপুর গ্রামের ননি গোপাল মন্ডলের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ৪ বছর আগে আসামি কনার মন্ডল অভয়নগর উপজেলার দত্তগাতি গ্রামের ভগীরথ মন্ডলের মেয়ে প্রিয়া রানী মন্ডলকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর কনার মন্ডল মনিরামপুরের কুলটিয়া গ্রামের ফাল্গুন মন্ডলের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। দাম্পত্য জীবনে তাদের আদ্রিতা মন্ডল কথা (৩) নামে একটি মেয়ের জন্ম হয়। আসামি কনার মন্ডল নারী আসক্ত হওয়ায় তাদের দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকতো। যে কারণে কনার মন্ডল প্রায়ই তার স্ত্রী প্রিয়া রানী মন্ডলকে আত্মহত্যা করতে অথবা বাবার বাড়ি চলে যেতে বলতেন।

২০২১ সালের ৭ আগষ্ট দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে স্বামীর পরকীয়ার বিষয় নিয়ে তাদের দুজনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে রান্না ঘরে থাকা দড়ি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার জন্য প্ররোচনা করেন কনার মন্ডল। একইদিন বিকেল ৫ টার দিকে কনার মন্ডলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে অন্য এক নারীকে দিয়ে প্রিয়া রানীর ভাই চন্দন কুমার মন্ডলের কাছে ফোন করে জানানো হয় তোমার বোন খুবই অসুস্থ। চন্দন কুমার মন্ডল পরিবারের লোকজন নিয়ে এসে দেখেন তার বোন প্রিয়া রানী মন্ডল এবং তার তিন বছর বয়সের মেয়ে আদ্রিতা মন্ডল কথা ভাড়া করা বাসায় মৃত পড়ে আছে।

প্রতিবেশিরা কনার মন্ডলকে ধরে মনিরামপুর থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে কনার মন্ডলকে হেফাজতে নেয় এবং মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এব্যাপারে মৃত প্রিয়ার ভাই চন্দন মন্ডল বাদী হয়ে কনার মন্ডলকে আসামি করে আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে মনিরামপুর থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে আটক আসামি জড়িত থাকায় নিহতের স্বামী কনার মন্ডলকে অভিযুক্ত করে আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন