মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :
“মাদক ইভটিজিং বাল্যবিবাহ ও স্মার্ট ফোনকে না বলি, সত্যবাদিতা মানবতা ও দেশপ্রেমে জাগ্রত করি” প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে যশোরের মণিরামপুরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘ’র আয়োজনে মতবিনিময় সভা ও শপথ পাঠ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে পৌর শহরের মণিরামপুর আদর্শ সম্মেলনী মাধ্যমিক বিদালয়ের হলরুমে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
মাদক, বাল্যবিবাহ ও স্মার্ট ফোনকে লাল কার্ড প্রদর্শন এবং দেশপ্রেমে জাগ্রত করতে অনুষ্ঠিত লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সভাপতি কাওসার আলম সোহেলের পরিচালনায় এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কুমার বিশ্বজিৎ মন্ডলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মণিরামপুর সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার আশেক সুজা মামুন।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর-ই-আলম সিদ্দিকী, উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার মাসুদ হোসেন, অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমজাদ হোসেন, সংগঠনের মণিরাপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক গৌরব সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক অভি হাসান, সহ-সাংগঠিক সম্পাদক কাজী শরীফ মাহমুদ, অর্থ সম্পাদক মেহেদী অনিক, প্রচার সম্পাদক আব্দুল্লাহ নোমান, অনুষ্ঠান বিষয়ক সম্পাদক নাজমুস সাকিব, শিক্ষার্থী জাকিয়া সুলতানা তিশা, আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সভাপতি কাওসার আলম সোহেল বলেন, ২০০৭ সালে আমি নবম শ্রেণিতে এবং আমার বোন ফারজানা আক্তার সুমি সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। আমার বাবা তখন একজন সেনা কর্মকর্তা। ছাত্র জীবনে দুই ভাই-বোনের সেনা কল্যাণের টিফিনের টাকা দিয়ে অসহায়, গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়া লেখার সহয়তার পাশাপাশি মাদক এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কার্যক্রম শুরু করি। এমনকি ২০১০ সালে আমি লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন খাড়া করি।
তিনি আরও বলেন, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে অনার্স শেষ করে ২০১১ সালে দেশব্যাপী সংগঠনটির কার্যক্রম শুরু করা করি। বর্তমানে এ সংগঠনের একশো’র অধিক শাখা রয়েছে। এ পর্যন্ত টিফিনের টাকা দিয়ে প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষাধিক গাছ রোপন করা হয়েছে। তবে, কোন ব্যক্তি বা দাতার নিকট থেকে সংগঠনটি কোন প্রকার অর্থনৈতিন সহয়তা গ্রহন করেননা। সংগঠনের নিজস্ব সদস্যদের টিফিনের টাকা দিয়ে দেশব্যাপী সহতি উদ্যোগের কার্যক্রমটি চলমান রয়েছে।
আলোচনা সভার পূর্বে শিক্ষার্থীরা নানান সামাজিক সমস্যা নিয়ে অতিথিদের কাছে প্রশ্নপর্ব হয়। এ সময় অতিথিরা তা সমাধানের জন্য তাদের প্রশ্নের উত্তর দেন। পরে শিক্ষার্থীরা উন্নত চরিত্র গঠনে মাদক, বাল্যবিবাহ ও ধর্ষণকে না বলে দেশপ্রেমী হওয়ার শপথ নেন। শিক্ষার্থীদের শপথ পাঠ করান সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাওসার আলম সোহেল।