হোম আন্তর্জাতিক কিয়েভের কাছাকাছি রুশ সামরিক বাহিনী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের ১৮ দশমিক ছয় মাইল দূরে রাশিয়ার একদল সেনা পৌঁছে গেছে। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যম সিএনএন এমন খবর দিয়েছে।

রাশিয়াকে হুঁশিয়ারি দিয়ে যুক্তরাজ্য বলছে, এই হামলায় ধারণার চেয়েও বেশি লোক হতাহত হবেন। ক্ষয়ক্ষতির সংখ্যাটা ক্রেমলিন যা স্বীকার করবে, তার চেয়েও অভাবনীয় হবে।

ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়া এখনো ইউক্রেনের আকাশের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি। এতে রাশিয়ার বিমানবাহিনীর সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে তারা কমিয়ে দিতে পেরেছে।

দেশজুড়ে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী। রাজধানীর নাগরিকদের দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি বলেন, কিয়েভ এখনো আমাদের নিয়ন্ত্রণে। লড়াই চলছে।

এদিকে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার বিশেষ কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখার দরকার নেই। সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট ও দেশটির শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা দিমিত্রি মেদভেদভ শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এমন দাবি করেছেন।

এ সময়ে ইউক্রেন-সংঘাতকে ঘিরে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞাকে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। মেদভেদভ বলেন, কৌশলগত পারমাণবিক স্থিতিশীলতা, সম্ভাব্যতা থেকে শুরু করে নতুন কৌশলগত অস্ত্র হ্রাস চুক্তি (নিউ স্টার্ট) থেকে সরে আসতে নিষেধাজ্ঞা রাশিয়াকে সুযোগ এনে দিয়েছে। ২০১০ সালে সই হওয়া নিউ স্টার্ট চুক্তির মেয়াদ ২০২১ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।

রুশ সামাজিকমাধ্যম ভিকে-তে নিজের ভেরিফাইড পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, বিশেষভাবে আমাদের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক দরকার নেই। এখন দূতাবাসগুলোতে তালাবদ্ধ করে দেওয়ার সময় এসেছে।

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ এই রাজনীতিবিদ বলেন, পশ্চিমাদের চমৎকার নিষেধাজ্ঞায় আমাদের মধ্যে কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে না। নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের আগ-পর্যন্ত ইউক্রেনে সামরিক অভিযান বন্ধ করবে না রাশিয়া।

এর আগে ইউক্রেনকে নাৎসিমুক্ত ও নিরস্ত্রীকরণ করতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা দাবি করেছিলেন পুতিন। মেদভেদভ বলেন, একটি সাধারণ কারণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। রাশিয়ার গতি পরিবর্তনে পশ্চিমাদের রাজনৈতিক অদক্ষতা দেখা গেছে।

মানবাধিকার সংস্থা কাউন্সিল অব ইউরোপ থেকে রাশিয়ার সদস্যপদ স্থগিতের সিদ্ধান্তকে সত্যিকারের অন্যায় বলে আখ্যায়িত করেছেন তিনি। বললেন, এতে রাশিয়া বিপজ্জনক অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড সহজেই বাস্তবায়ন করতে পারবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন