হোম এক্সক্লুসিভ নড়াইলে ভাঙ্গা হলো হত দরিদ্র রেবেকার চা দোকান

নড়াইল অফিস :

সরকারী জমিতে থাকা রেবেকার ১০ বছরের চায়ের দোকান ভেঙ্গে দিয়া হলো। নড়াইল সদর থানার এস আই কাউসার হোসেন হাওলাদারের উপস্থিতিতে । সোমবার(৭ ফেব্রুয়ারি ) সকালে নড়াইল এলজিইডি অফিসের সামনের দোতলা ভবনের মালিকের পক্ষে যান এ এস আই কাউসার। নিজের একমাত্র উপার্যনের সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে দিনমজুর পরিবারটি। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

খোজ নিয়ে জানা গেছে,প্রায় ১০ বছর ধরে জেলা পরিষদের জায়গা লীজ নেন ইমরান হোসেন নামের এক ব্যক্তি। তার কাছ থেকে অল্প একটু জায়গা নিয়ে টিনশেড তুলে চা বানিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন রেবেকা খাতুন। রেবেকার চা’দোকানের পিছনে ওবায়দুর রহমান নামের এক কুয়েক প্রবাসীর দোতলা বাড়ি। গত দুই মাস আগে বাড়িটি ভাড়া নেয় হলিচাইল্ড কেয়ার হোম প্রি ক্যাডেট স্কুল। স্কুল ভাড়া নেবার পর থেকে স্কুলের প্রিন্সপ্যাল আসলাম খান নানা কায়দায় চায়ের দোকনটি তুলে দেবার পায়তারা করতে থাকে। সোমবার নড়াইল সদর থানার এ এস আই কাউসার হোসেন হাওলাদার কে সাথে নিয়ে রেবেকার চায়ের দোকানের চুলা ভেঙ্গে ফেলে। এর পর দোকান থেকে সমস্ত মালামাল বাইরে ফেলে দিয়ে তালা মেরে দেয় প্রিন্সিপ্যাল সালাম।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রেবেকার চা দোকানের সকল মালামাল এদিক ওদিক ছড়ানো। সরকারী জমিতে যে খানে চা দোকানের চুলা ছিলো সেখানে বাথরুমের কুয়া খুচে চাড়ি বসানো হচ্ছে। এ ঘটনার পরে বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছে রেবেকা ও তার তার দিনমজুর স্বামী সেকেন্দার আলি বিশ্বাস ।

কান্না জড়ানো কন্ঠে রেবেকা বলেন, সকালে এ এসআই কাউসার আর প্রিন্সিপ্যাল আসলাম দুজনে মিলে আমার দোকান ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে। আমি এস পি অফিসে গিয়ে নালিশ করে এসেই দেখি আমার সব ভেঙ্গে ফেলেছে তারা। এখন আমি খাব কি? আমার দুটি বাচ্চা নিয়ে কোথায় যাব?

রেবেকার স্বামী সেকেন্দার আলি বলেন,কাউসার দারোগা আজকে আমাকে ৫০ হাজার টাকা অফার দেয়।আমি রাজী হয়নি বলে তিনি আমাদের চায়ের দোকানটি ভেঙ্গে দিয়েছে।

হলিচাইল্ড কেয়ার হোম প্রি ক্যাডেট স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল আসলাম শেখ বলেন,আমি দখল করিনি,বাড়ির মালিকই সব ব্যবস্থা করেছে,থানা থেকেই তারিখ দেয়া হয়েছে। সেইভাবে চুলা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে এ এস আই কাউসারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন,বিষয়টি ঠিক ওরকম নয়,আমি ঘটনার সময় ছিলাম,তবে আমি ঐ মহিলাকে বলেছি অপনার চুলাটা সরিয়ে দেন। আমি চুলায় লাথি মারিনি।

নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শওকত কবির বলেন,পুলিশের তো কারো দখলদারীতে সহায়তা করার কথা নয়। ঐখানে কোন পুলিশ জায়নি। চা দোকানীর অভিযোগ থানায় গ্রহন করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন