হোম অন্যান্যসারাদেশ দু’দিনের ব্যবধানে বদল হল সাতক্ষীরায় শ্রমিকলীগের কমিটি

নিজস্ব প্রতিনিধি :

অবৈধ টাকার জোরে মাত্র দু’দিনের ব্যবধানে পাল্টে গেল সাতক্ষীরায় শ্রমিক লীগের জেলা কমিটি। কেন্দ্রীয় কমিটি নেতাদের ঘুষ বানিজ্য করে ভু’ইফোঁড় ব্যক্তিদের কমিটি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সাইফুল করিম সাবুর।

শহরে খুলনা রোড মোড়ে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে নতুন কমিটি পুস্পস্তবক শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সাইফুল করিম সাবু বলেন, আগের নিয়মিত কমিটির মাধ্যমে সম্মেলন প্রস্তুত হত। বর্তমানে ২২ জানুয়ারী আব্দুল্লাহ সরদারের নেতৃত্বে৩৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি সাতক্ষীরায় আত্মপ্রকাশ করে ।

তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আজম খসরু ১২ লাখ টাকা নিয়ে ভূয়া ব্যক্তিদের দিয়ে আহবায়ক কমিটির অনুমোদন দেয় । পরবর্ততে চাপে পড়ে ২৪ জানুয়ারী পুরাতন কমিটিকে আবারো অনুমোদন দিতে বাধ্য হয় কেন্দ্রীয় কমিটি।

তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারী তারা একটি বৈঠক করেন। সে বৈঠকে সম্মেলনের প্রস্তুতি গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্মেলনের প্রস্তুতি চলছিল। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে নতুন আহবায়ক কমিটি ঘোষিত হলো। ঘুষ বানিজ্যের কারণে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এমনটা করেছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।

ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ অস্বীকার করে আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব মাহমুদুল আলম বিবিসি বলেন, কমিটিতে স্বাক্ষর করার একক ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের। অথচ সাইফুল করিম সাবুর নেতৃত্বাধীন কমিটিতে স্বাক্ষর রয়েছে কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুর কুতুব আলম মান্নানের এ কমিটির কোন বৈধতা নেই।

তিনি আরও বলেন,সাবু-খালেকের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৯ সালে। তাদের অধিকাংশ ইউনিটে কোন কমিটি নেই। সংগঠনকে গতিশীল করতে নতুন আহবায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে। ৬ মাসের মধ্যে সম্মেলনের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। তাই আমাদের কার্যক্রম গতিশীল থাকবে।

প্রসঙ্গতঃ সভাপতি সাইফুল করিম সাবু ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ খালেকের নেতৃত্বে জেলা শ্রমিক লীগের কমিটি জেলা সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। নিয়মিত কমিটিকে কোনরুপ অবহিত না করে আব্দুল্লাহ সরদারকে আহবায়ক ও দুবাই প্রবাসী মাহমুদুল আলম বিবিসিকে সদস্য সচিব করে ৩৭ সদস্যের কমিটি ঘোষণা দেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আজম খসরু। পরের দিন আব্দুল্লাহ সরদার ও মাহমুদুল আলম বিবিসির নেতৃত্বে একটি শহরে র‌্যালি বের হয়। ২৪ জানুয়ারী কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুর কুতুব আলম মান্নান স্বাক্ষরিত পুরাতন কমিটির নেতৃবৃন্দকে দিয়ে আগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি বহাল রেখে অনুমোদন দেয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন