হোম অন্যান্যসারাদেশ মনিরামপুর আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে কৃষকের বাস্তভিটা ভাংচুর-লুটপাটর অভিযাগ; আটক-২

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :

মনিরামপুরে বিজ্ঞ আদালতর নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এক কৃষকের বসত বাড়িত হামলা চালিয় ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযাগ উঠেছে। উপজেলার মকমতলা খানপুর গ্রামে শুক্রবার দুপুরে আইয়ুব হাসনের বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে আইয়ুব হাসান বাদী হয়ে ১১ জনর নামে থানায় মামলা করলে পুলিশ ওই রাতেই দুইজনকে আটক করেন। বাকী আসামি এলাকা ছেড়ে পালিয়েছন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আলেক গাজী জানান, মকমতলা খানপুর গ্রামের আফসার মোড়লের ছেলে আইয়ুব হাসান দীর্ঘদিন যাবত পৈত্রিক ৬৭ শতাংশ বসতভিটার জমি ভোগদখল করে আসছেন। এর মধ্যে ১০ শতাংশ জমি দাবি করেন প্রতিপক্ষ আবু তালেব গং। এ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চল আসছে। অভিযোগ রয়েছ প্রতিপক্ষরা এর আগে কয়েকবার আইয়ুব হাসানের বসতভিটার ১০ শতক জমি দখল করতে আসে। এলাকাবাসীর প্রতিরাধের মুখে সেটি ব্যর্থ হয়। বাধ্য হয়ে আইয়ুব হাসেন আদালতের শ্মরনাপন্ন হন।

ফলে আদালত বৃহস্পতিবার ওই জমির ওপর নিষধাজ্ঞা (১৪৪ ধারা) জারি করে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মনিরামপুর থানা পুলিশক নির্দেশ দেন। সে মোতাবেক এএসআই কাজল চ্যাটার্জী শুক্রবার সকালের দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে সতর্ক করে আসেন। কি অভিযাগ রয়েছে দুপুরের দিকে প্রতিপক্ষরা লাঠিসোটা ধারালো অস্ত্র নিয় আইয়ুব হাসানের বাড়িত হামলা চালিয়ে ভাংচুরসহ বিভিন মালামাল লুটপাট করে।

এ সময় বাঁধা দেওয়ায় আইয়ুব হাসান ও তার পরিবার বর্গকে মারপিট করা হয়। আইয়ুব হাসান জানান, তারা শুধু বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি। বাড়ির আঙ্গিনা থেকে তারা ১২/১৩ টি ছোটবড় বিভিন্ন গাছ কেটে নিয়েছে। এ ব্যাপারে আইয়ুব হাসান বাদি হয়ে মনিরামপুর থানায় ১১ জনের নাম উল্লখসহ একটি মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সমন বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মামলার পর ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে নজরুল ইসলাম এবং বাবলুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর-ই-আলম সিদ্দিকী জানান, বাকি আসামি আটকের জন্য পুলিশি অভিযান জােরদার ভাবে অব্যাহত রয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন