কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি :
সাংসারিক কাজের পাশাপাশি মুরগী ও গরুর খামার করে স্বাবলম্বি কুলিয়ারচর পৌর এলাকার পালটিয়া গ্রামের মোঃ আতর মিয়ার স্ত্রী আফরোজা আক্তার আইরিন (৩০)। আফরোজা দেখিয়ে দিয়েছেন, নারী হওয়াটা কিংবা সংসার জীবনের পাশাপাশি আত্নকর্মসংস্থানের মাধ্যমে সমাজিক উন্নয়নে কোন প্রতিবন্ধকতা নয়। কেবল ইচ্ছাশক্তি, শ্রম আর সাধনাই পারে দারিদ্রতার অবসান ঘটিয়ে নারীদের অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে স্বাবলম্বি করে তুলতে।
আফোজাকে সার্বিক সাহায্য- সহযোগীতা করে যাচ্ছেন তার স্বামী আতর মিয়া। আতর মিয়ার অভিমত, সংসারে স্বামী- স্ত্রী সম্মিলিত ভাবে কাজ করলে সংসারে দারিদ্রতা থাকেনা। আসে স্বচ্ছলতা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আইরিনের একটি খামারে ৫ হাজার ব্রয়লার মুরগি ও অপর একটি খামারে ৫ হাজার কর্ক মুরগী পালন করা হচ্ছে। মুরগীর খামারে ৫/৬ জন নারী শ্রমিক কাজ করলেও সব সময় তাদের তদারকি করে যাচ্ছেন আইরিন।
মুরগির খামারের পাশাপাশি আইরিনের রয়েছে একটি গরুর খামার৷ মুরগীর খামার করে তার লাভের টাকা সঞ্চয় করে তা দিয়ে তৈরি করেছেন একটি গরুর খামার। খামারে ১০টি গরু ছিলো। ৫ লক্ষ টাকা মূল্যের দুইটি গরু মারা যাওয়ায় বর্তমানে খামারে ৮টি গরু রয়েছে।
আইরিন বলেন, আমি প্রথমে এক হাজার মুরগি নিয়ে খামার শুরু করি। এ থেকে লাভবান হয়ে এখন আমার দুইটা মুরগির খামারে দশ হাজার মুরগি আছে। পাশাপাশি গরুর খামার করেছি। দশটা গরু থেকে আমার প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা মূল্যের দুইটা উন্নত জাতের গরু মারা গেছে। এতে আমার অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। ভাইরাস জনিত কারনে মুরগির খামারে অনেকগুলো মুরগি মারা যাওয়ায় আমি এখন হতাশার মধ্যে আছি। সরকারী সহযোগিতা ও ভর্তুকী পেলে আমি ও আমার খামারে কর্মরত শ্রমিকেরা উপকৃত হতাম।
এ ব্যাপারে কুলিয়ারচর যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম দৈনিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, মুরগী পালনের ওপর যুব উন্নয়ন থেকে প্রশিক্ষণ নিতে পারে আইরিন। প্রশিক্ষণের পর ঋণ গ্রহণ করে তিনি তার ব্যবসায়ের প্রসার বৃদ্ধি করতে পারবেন।