জয়দেব চক্রবর্ত্তী, কেশবপুর (যশোর) :
গত ৫ জানুয়ারী পঞ্চমধাপে অনুষ্ঠিত কেশবপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ভোট অনুষ্ঠিত হলেও কেশবপুর সদর ইউনিয়নের একটি ভোট কেন্দ্রে ভোট কারচুপির ঘটনায় ভোট গ্রহণ স্থগিত হয়ে যায়। ফলে অমিমাংশিত থাকে কেশবপুর সদর ইউনিয়নের ফলাফল।
নুতনকরে ভোট গ্রহণের কোন তারিখ নির্ধারিত না হলেও কেশবপুর উপজেলা সদরের মানুষের মুখে মুখে ভোটের হিসাব নিকাশ। এ ইউনিয়নটিতে বর্তমানে মুল প্রতিদ্বন্ধিতায় আছেন মাত্র ২ জন। তারা হলেন তিনবারের চেয়ারম্যান প্রভাষক আলাউদ্দিন আলা(মোটরসাইকেল) ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠণিক সম্পাদক দু বারের ইউপি মেম্বার গৌতম রায় (নৌকা)। এ ইউনিয়নটিতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী থাকেন ৫ জন।
অন্যরা হলেন আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র জাহাঙ্গীর আলম (চশমা),আনিছুর রহমান(হাতপাখা)ও মোঃ আয়ুব আলী (আনারস)। মোট ৮টি ওয়ার্ডের নির্বাচনী ফলাফলে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী গৌতম রায় এগিয়ে আছেন ৪৫৮ ভোটে। অপরদিকে স্থগিত থাকা নুতনমুলগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটার সংখ্যা ২১১৯ । এ ভোটের উপর নির্ভর করে চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড মেম্বর ও সংরক্ষিত মহিলা মেম্বারের ভাগ্য ঝুলে আছে।
কেশবপুর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদটি দীর্ঘদিন এন্টি আওয়ামীরীগের দখলে রয়েছে। মুল প্রতিদ্বন্ধি প্রভাষক আলাউদ্দিন আলা এবার দলীয় পর্যায়ে নিবৃাচনে অংশ না নিলেও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী তার পরো তিনি যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম নেতা।
প্রসঙ্গত: এ ইউনিয়নটি আগাগোড়া বিএনপির কব্জায়। আওয়ামীলীগ চায় এ ইউনিয়নটি দখলে নিতে আর প্রভাষক আলাউদ্দিন আলা ও তার অনুসারিরা চান চেয়ারম্যান পদটি দখলে রাখতে।
প্রভাষক আলাউদ্দিন আলা বলেন, নিবৃাচনে কোন প্রকার হুমকী ধামকি ও পুলিশি নির্যাতন না হলে তিনি বিজয়ী হবেন। অপর দিকে গৌতম রায় বলেন, বিজয়ের ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদী। তবে নির্বাচ বিশ্লেষকদের অভিমত যিনিই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন না কেন ব্যবধান হবে থেকে দেড়শ ভোটের।