জাতীয় ডেস্ক :
রংপুর নগরীর বীরভদ্র বালাটারীর একটি বাড়ির রান্নাঘর থেকে সপ্তম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত কবিতা খাতুন নামে এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পরিবারের লোকজন আত্মহত্যা দাবি করলেও বাবা ইউসুফ মিয়াই তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করছেন প্রতিবেশীদের অনেকে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইউসুফকে আটক করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, কবিতার বাবা ইউসুফ মিয়া তার মা হোসনে আরা বেগমকে তালাক দেওয়ার পর আরও দুইটি বিয়ে করেন। তিনি বিভিন্ন অজুহাতে স্ত্রী-সন্তানদের ওপর প্রায়ই অমানবিক নির্যাতন করতেন। আগের রাতেও কবিতাকে নির্যাতন করেন।
প্রতিবেশীদের দাবি, ইউসুফই তার মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তবে মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে আসা হোসনে আরার দাবি তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ কবিতার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল মর্গে পাঠিয়েছে।
রংপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সাজ্জাদ হোসেন জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা মনে হলেও তার বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় মাহিগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল কবিতা খাতুন।