হোম ফিচার ফকিরহাটের কাটাখালী থেকে লখপুর পর্যন্ত অবৈধ্য স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ

ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি :

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালী এলাকা থেকে লখপুর বাসষ্ট্যান্ড পর্যন্ত অবৈধ্য স্থাপনা উচ্ছেদের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, বাগেরহাট জেলা পরিষদের আওতাধীন সরকারী রাস্তার পাশে শতাধিক অবৈধ্য স্থাপনা গড়ে উঠেছে।

রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা পরিষদ কর্তৃক লখপুর ও কাটাখালী বাষ্ট্যান্ডে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন ফকিরহাট এসিল্যান্ড ও উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বিধান কান্তি হালদার।

প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার লখপুর বাসষ্ট্যান্ডের পশ্চিম পার্শ্বে জেলা পরিষদের আওতাধীন সরকারী পুকুরর পাড়ের চারপাশ ঘিরে প্রায় ১৫টি ভুমিহীন পরিবার বসবাস করছে। এছাড়াও পূর্বপার্শ্বে মোজাফফার মোড়ল নামে একজন ব্যাক্তি সরকারী জায়গা দখল করে সেখানে একটি দ্বিতল ভবন নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন। তাদেরকে বারবার মৌখিক ও লিখিত ভাবে নোটিশ প্রদান করলেও দখলকারীরা তাতে কোন কর্ণপাত করেনি।

যে কারণে সরকারী জায়গা দখলমুক্ত করতে এই অভিযান শুরু করা হয়েছে। তবে পুকুর পাড়ের ১৫টি ভুমিহীন পরিবারকে তিন দিনের এবং পূর্বপার্শ্বে জনৈক মোজাফফার মোড়লকে ১মাস এবং কাটাখালী কলেজ রোডের মার্কেট এবং তার সাইড সোল্ডারে সিমানার প্রচীর নির্মাণ কারীদের ৩দিনের মধ্যে অবৈধ্য স্থাপনা সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।

নির্দ্ধারিত সময়ের মধ্যে দখলকারীরা স্ব স্ব উদ্যোগে যদি তাদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন সহ আবারও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলেও জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট বিধান কান্তি হালদার জানিয়েছেন।

এদিকে দখলকারী ভুমিহীনরা বলেন, তারা সরকারী জায়গায় থাকতে চান না। তাদেরকে সরকারী ভাবে জায়গা ও ঘর বেধে দিলে তারা জায়গা ছেড়ে দিবেন। অপর দিকে কাটাখালীর কলেজ রোডের একাধিক দখলকারীরা অভিযোগ করে বলেন, তারা বারবার জেলা পরিষদকে তাদের সিমানা নির্ধারনের জন্য অনুরোধ করলেও তারা কর্তৃপক্ষ কোন কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ করেন। তারা সার্ভেয়ার এর মাধ্যমে তাদের জায়গা মেপে সিমানা নির্ধারন করার জোর দাবী করেন।

অভিযানকালে অন্যান্যের মধ্যে জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা একেএম জাকির হোসেন, প্রধান সহকারী গৌরাঙ্গ কুমার পাল, গ্রাফার সাকিল হোসেন, সার্ভেয়ার মোঃ ইমরান, অফিস সহায়ক মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ ইকবাল হোসেন ও সড়ক ও জনপদ বিভাগের সার্ভেয়ার মিজানুর রহমান সহ মডেল থানা পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) আরিফ হোসেন এবং মোঃ কাউয়ুম উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন