জাতীয় ডেস্ক :
স্বপ্নের পদ্মা সেতু। সেখানে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। পিছনে সুবিশাল জলরাশি। মুখে স্বপ্নছোয়া প্রত্যাশার হাসি। এমন এক মাহেন্দ্রক্ষণের ছবি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী পুত্র ও সরকার প্রধানের তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগ বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ওই ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘পদ্মা সেতু থেকে নববর্ষের শুভেচ্ছা। জয় বাংলা! জয় বঙ্গবন্ধু!’ ওই পোস্টে মাত্র ২৭ মিনিটের মাথায় লাভ রিয়েক্টসহ ২০ হাজার ইমোজি, আড়াই হাজারেরও বেশি মন্তব্য এবং ১২শ’রও বেশি শেয়ার হয়েছে।
এদিকে, শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পদ্মা সেতু পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা। এসময় সেতুর সাত নম্বর পিলার থেকে ১৮ নম্বর পিলার পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার হেঁটে দেখেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী গাড়ি নিয়ে পদ্মা সেতুতে ওঠার পর গাড়ি থেকে নেমে সেতুর ৭ নম্বর পিলার থেকে ১৮ নম্বর পিলার পর্যন্ত ১৬৫০ মিটার পথ হাঁটেন। এরপর আবার গাড়িতে উঠেন। প্রধানমন্ত্রী গাড়ি নিয়ে মাওয়া প্রান্ত দিয়ে সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে সেতুতে ওঠেন। সাড়ে ৮টার দিকে সেতুর জাজিরা প্রান্ত দিয়ে নামেন। জাজিরা প্রান্তে সেতুর সার্ভিস এরিয়া দুইয়ে বোনকে নিয়ে সকালের নাস্তা করেন। পরে আবার সেতু পার হয়ে ফিরে আসেন সড়ক পথে।
এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া থেকে ঢাকায় ফেরার পথে বারবার তাকিয়ে স্বপ্নের পদ্মা সেতু দেখছিলেন। হেলিকপ্টার থেকেই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বেশ কিছু ভিডিও মোবাইল ক্যামেরায় ধারণ করেন। হেলিকপ্টার থেকে প্রধানমন্ত্রীর মোবাইলে ধারণ করা সেই ভিডিও শেয়ার করেন উপ প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন।
ভিডিও শেয়ার করে তিনি লিখেন, স্বপ্নের পদ্মা ব্রিজ আজ বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। গভীর মমতায় পদ্মা ব্রিজ নির্মাণের অগ্রগতি দেখছেন এই স্বপ্নের স্বপ্নদ্রষ্টা ও বাস্তবায়নের কারিগর আমাদের পরম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সে ভিডিওতে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী নিজে হেলিকপ্টারের জানালা দিয়ে মোবাইলে ভিডিও ধারণ ও ছবি তোলেন। এ সময় তাকে বেশ হাস্যোজ্জ্বল দেখা যায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক সেতুর নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন। ২০১৮ সালে ১৪ অক্টোবর সেতুর রেল সংযোগ উদ্বোধন এবং সেতু পরিদর্শন করেন। এ ছাড়াও হেলিকপ্টারে করে সেতু প্রত্যক্ষ করেন বেশ কয়েকবার।