জাতীয় ডেস্ক :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইন হোক- তা আমিও চাই। কিন্তু এবার সে সময় নেই, আর সংসদকে পাশ কাটিয়ে অধ্যাদেশ জারি করা সঠিক হবে না বলেও মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, সার্চ কমিটিতে রাজনৈতিক দলের কেউ নেই। সরকারি দলের কেউ নেই। সার্চ কমিটি ১০ জনকে নির্বাচন করে রাষ্ট্রপতির কাছে নাম পাঠাবেন। সবার নাম দেওয়ার অধিকার আছে, ক্ষমতা আছে। সুতরাং নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে কোনো বিতর্ক করার অবকাশ আছে বলে মনে হয় না।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইসি গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতি তার ডায়ালগ (সংলাপ) শুরু করে দিয়েছেন। তিনি যেই সিদ্ধান্ত দেবেন সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী নির্বাচন কমিশন গঠন হবে। এটা রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব।
মন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নামের প্রস্তাব নেবেন। এর মাধ্যমে হবে সার্চ কমিটি। সেই সার্চ কমিটি যেসব নাম প্রস্তাব করবে, তাদের মধ্যে থেকে রাষ্ট্রপতি নতুন ইসি গঠন করে দেবেন। এই এই সার্চ কমিটির সদস্য হবেন আপিল বিভাগের একজন সিনিয়র বিচারপতি, হাইকোর্টের একজন বিচারপতি, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান এবং অডিটর অ্যান্ড কম্পট্রোলার জেনারেল। এরা সবাই সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত। আর দুজন হবেন সিভিল সোসাইটির সদস্য।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজন আছে। কিন্তু এও জানি, এর কিছু অপব্যবহার ও দুর্ব্যবহার হয়েছে। এটা যাতে বন্ধ হয় সেজন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এখন কোনো সাংবাদিককে মামলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় না। আগে যাচাই-বাছাই হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাকস্বাধীনতা ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য করা হয়নি।
আইনমন্ত্রী বলেন, ১৯৬৪ সাল থেকে আমি খবরের কাগজ পড়ি। তখন আমার বয়স আট। তখন ক্রাইম রিপোর্টিং আলাদাভাবে ছিল না। কিন্তু এখন আলাদা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠছেন সাংবাদিকরা।
তিনি বলেন, অপরাধের তথ্য এখন অনেক সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানার আগেই দিচ্ছেন সাংবাদিকরা। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব সবার। সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে যে সুসম্পর্ক, তা খুবই গভীর হয়েছে। আমাদের দেশে যত টকশো হয়, এত টকশো অন্য দেশের গণমাধ্যমে হয় না। বাকস্বাধীনতা নাই তা বলা যাবে না। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাও হচ্ছে।
ক্র্যাব সভাপতি মিজান মালিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আরিফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক সাইফুল আলম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ বক্তৃতা করেন।