স্টাফ রিপোর্টার, কেশবপুর (যশোর) :
কেশবপুরের মঙ্গলকোট ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১০ কর্মীকে মারপিট করে আহত করেছে। আহতদের ভিতর গুরুতর আহত ২ জনকে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে,অন্যরা স্থানীয় চিকিৎসকের চিকিৎসা নিয়েছেন ।
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা, থানার অফিসার ইনচার্জ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন। শান্ত পরিবেশ ক্রমান্বয়ে অশান্ত হয়ে উঠছে বলে সাধারণ মানুষের অভিমত।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোয়ার হোসেনের কর্মী ওসমান গনী, মফিজুর রহমান মফেজ, আশুতোষ হালদার, জয় খান শনিবার রাতে নির্বাচনী প্রচারণা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন । রাত ১০ টার দিকে একই ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল কাদেরের নেতৃত্বে তার কতিপয় উৎশৃঙ্খল অনুসারীসহ একদল বহিরাগত সন্ত্রাসী তাঁদের উপর হামলা চালিয়ে ব্যাপক মারপিট করে। তাঁদের গলায় মাফলার পেঁচিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।
পরে খবর পেয়ে কেশবপুর থানার উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান ও সহকারী উপপরিদর্শক মনির হোসেন সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় থানার অফিসার ইনচার্জ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোয়ার হোসেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোয়ার হোসেন বলেন, আগামি ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য পঞ্চম ধাপে মঙ্গলকোট ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরদিন থেকে তিনি তার কর্মী সমর্থককে নিয়ে প্রচার প্রচারনা শুরু করেন।
একইভাবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হয়েছেন আব্দুল কাদের বিশ্বাস। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নৌকার বিপক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ায় তাকে ভালভাবে মেনে নিতে পারেননি তিনি তাই প্রতিহিংসা বশতঃ জনপ্রিয়তায় ঈীর্শ্বানীত হয়ে তারা হামলা করে নির্বাচিনের পরিবেশ নষ্ট করছে। অধিকাংশ কর্মঢী মারপিটে আহত হওয়ায় কেউ কেউ স্থানীয় চিকিৎসকের নিকট থেকে চিকিৎসা নিয়েছে।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল কাদের বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, শনিবার নৌকা প্রতীকের জন্য বাড়ি বাড়ি ভোট প্রার্থনা করেছি। এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার। এ ঘটনার সাথে আমি ও আমার কোনো কর্মী জড়িত না।
কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বোরহান উদ্দীন বলেন, রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুই পক্ষকে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনের কার্যক্রম করতে বলা হয়েছে। আইনশৃংখলা অবনতির ঘটনা ঘটালে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন জানান, এ ঘঁনায় রোববার দুই পক্ষকে ডেকে সংযত হওয়াসহ পরবর্তীতে এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটালে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের কথা জানান দিয়েছেন।