হোম ফিচার মুক্তিযোদ্ধা কে বা কাহারা?

 

নিজস্ব প্রতিনিধি :

পৃথিবীর অনেক দেশ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু সব জাতিকে সব মানব গোষ্ঠিকে তাদের স্বাধীনতার জন্য, অধিকার আদায়ের জন্য, শাসন ও শোষণের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যে মুক্তিযুদ্ধ করতে হয়নি। আর যে সব জাতিকে যুদ্ধ খরতে হয়েছে সেই সব জাতির মধ্যে থেকে শ্রেষ্ঠ সন্তানদের আবির্ভাব ঘটেছে। আমরা বাঙ্গালীরা সেই জাতি। আমাদের দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য মানুষের মুক্তির জন্য সমস্ত সুখ, আনন্দ জলাঞ্জলি দিয়ে জীবন উৎসর্গ করতে হয়েছে। কেহ শহিদ হয়েছেন আবার কেহ বিজয়ী বীর হয়ে বেঁচে আছেন। সেদিন যারা বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে জীবনকে বাজি রেখে দেশমাতৃকার স্বাদীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল তারা সিংহভাগই ছিল গরীব মেহনতি মানুষের সন্তান। তারা ছিল অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত, অল্প শিক্ষিত। এই বীর যোদ্ধাদের স্বাধীনতা লাভের পর থেকে কেহ খোজ খবর রাখেনি। তারা ছিল অবহেলিত তারা অসহায়ভাবে জীবন যাপন করেছে। তাদের পরিবারে ভরণপোষণ চালানোর ক্ষমতা ছিল না। তারা কেহ রিকসা চালিয়ে পরের ক্ষেতে শ্রম দিয়ে জীবন অতিবাহিত করেছে।

যে সব দেশ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছে সেই সব দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের কখনই তার অবমূল্যায়ন করা হয়ীন। যেমন দ্বিতিয় বিশ্বযুদ্ধে যারা জীবন দিয়েছিল তাদের নামের তালিকা বৃটেনের, জাপানের ইটালীর ফ্রান্সের সরকারীভাবে সংরক্ষিত রয়েছে। লÐনের মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠারে দেওয়ালে তাদের নামের তালিকা খোদাই করে রাখা হয়েছে। সেই সব দেশে এই যোদ্ধাদের বিশেষভাবে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। রুশ বিপ্লবের মুক্তিযোদ্ধাদের সমীহ করা হয় এবং তাদের ভরণপোষণের দায়িত্ব সরকার গ্রহণ করেছে। তাদের যাতায়াতের জন্য দেশের সব পরিবহনে সতন্ত্র আসন বরাদ্দ আছে। দেখা গেছে রাশিয়ার ফুটপাত দিয়ে এক বৃদ্ধ হেটে চলছে। রাস্তার দুই পাশের শ্রমীক, জনতা তাদের কাজ বন্ধ করে সামরিক কায়দায় স্যালুট দিয়ে দাড়িয়ে আছে। কারণ ঐ বৃদ্ধ একজন মুক্তিযোদ্ধা। চীনের সর্বস্তরের জনতা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। কিন্তু সেই দেশের লালফৌজদের সক্রীয় মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে ধরা হয়। সরকার তাদের আলাদা পোষাক দিয়েছেন। তাদের এই পোষাকে তাদের দেশের মুক্তি সংগ্রামের মহান নেতা তাদের মুক্তিদাতা জাতির স্থপতি মাও সেতুংয়ের মনোগ্রাম লাগানো আছে। রাষ্ট্র তাদের ভরণপোষণের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের যোদ্ধাদের ভারত সরকার তাদের ভরণপোষণ করেছেন। মৃত্যুর র তাদের জাতীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়। এবং তাদের কবর পাকা করা হয়েছে।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, শতাব্দির মহানায়ক অবিসংবাদিত নেতা বাংলার রাখাল রাজা বাংলার ধ্রুবতারা মুকুটহীন সম্রাট, বাঙলী জাতির প্রাণ ভোমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণের জন্য যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন হচ্ছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন মুক্তিযোদ্ধারা বিতর্কের উর্ধে তাদের নিয়ে কখনই বিতর্ক করা যাবে না।

তাই ইতিমধ্যে বাংলাদেশ হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন কোন মুক্তিযোদ্ধাকে কখনই ভুয়া বলা যাবে না। আর মুক্তিযোদ্ধাদের নামের প্রথমে অবশ্যই বীর মুক্তিযোদ্ধা লিখতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা যাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন তারা হচ্ছে ভারতে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। স্বাধীন হওয়ার পর প্রশিক্ষণ শিবির থেকে যারা ফেরত এসেছিলেন মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী, সৈনিক, পুলিশ, বিডিআর আনছার, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক রেডিও টিভির শিল্পী কলাকোশলী, সাংবাদিক, নাট্যকার, মুজিবনগর সরকারের সদস্য বিরঙ্গানাগণ সকলেই মুক্তিযোদ্ধা। তাদের সকলকেই সরকার ভাতা প্রদান করছেন।

আমরা যখন মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে কোন সেমিনার বা আলোচনা সভা করি তখন বক্তৃতার মাঝে মুক্তিযোদ্ধা ও অমুক্তিযোদ্ধা শব্দটি এসে যায়। কেহ বলেন দেশের সাড়ে ৭ কোটি মানুষতো মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগীতা করেছিলতবে কেন আজ আলাদা করে মুক্তিযোদ্ধা শব্দটি। আসলে মুক্তিযোদ্ধা কে বা কাহারা আমাদের জানতে হবে। একটি জাতির আকাঙ্খিত স্বাধীনতার জন্য নিজের অবস্থান পরিবর্তন করে যিনি সক্রিয় ভাবে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলেন তিনিই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। অনেকে দাবী করেন আমি মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার দিয়েছি, জায়গা দিয়েছি পথ দেখিয়েছি, অস্ত্র সেরে রেখেছি তাহা হলে আমি কেন মুক্তিযোদ্ধা হব না। আপনি মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করেছেন, পাশাপাশি আপনার নিজের কাজ পারিবারিক কাজ চালিয়ে গেছেন তাই আপনাকে মুক্তিযোদ্ধা বলা যাবে না। আপনার জানা উচিত একজন চাষী তার হাল ছেড়ে মুক্তিযুদ্ধ গিয়েছিল। সে যুদ্ধকালীন সময়ে তার হাল চাষ করতে পারেনি। একজন দোকানদার দোকানের তালা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিল। একজন শিক্ষক বিদ্যালয় ত্যাগ করে, একজন চিকিৎসক রুগীর চিকিৎসা বাদ দিয়ে একজন শ্রমিক তার শ্রমিকের কাজ বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিল। তারা ৯ মাস কোন দিন তাদের পেশায় ফিরতে পারেনি সেজন্য তারাই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। ১৭ই এপ্রিলে মুজিবনগর সরকার গঠিত হলে হাজার হাজার বাংলার দামাল ছেলেরা সেদিন ভারতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ শিবিরে ভর্তি হতে থাকে। তারা প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে হানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। তারা কখনই তাদের নিজ গৃহে অবস্থান করতে পারেনি। রাজাকার ও পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী এসকল মুক্তিযোদ্ধাদের ধরতে এসে তাদের পরিবারের উপর নির্যাতন চালিয়েছিল।

পৃথিবীর যে সব দেশ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছে সে সব দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের আলাদা একটি পরিচিতি আছে। রাষ্ট্র ও দেশবাসি তাদের সম্মান করে। এ অভ্যাসটি আমাদের দেশে গড়ে উঠেনি। এর কারণ স্বাধীনতার পর প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে সেদিনবিভিন্নভাবে লক্ষ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধারেদ সনদ বিতরণ করা হয়েছিল ফলে রাষ্ট্র তথা জনগণ জানেনা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা কারা। স্বাধীনতা লাভৈর পর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সবচেয়ে সুবিধাভোগী এক শ্রেণীর লোক তারা কখনই চাইনি মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সঠিক তালিকা প্রণয়ন হোক। সেই সময় মুক্তিযোদ্ধারা রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার হয়েছে। যখন যে সরকার ক্ষমতায় তখন সেই সরকারই তাদেতর ব্যবহার করেছে। মুক্তযোদ্ধাদের পুনর্বাসনর জন্য কেহ কোন চিন্তা ভাবনা করেনি।

আজ ইতিহাসের প্রয়োজনে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সঠিক তালিকা তৈরী হচ্ছে। ১৯৯৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে এই অসমাপ্ত কাজে হাত দেন। সেইদিন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার শ্রদ্ধ্যেয় স্যার অধ্যক্ষ আহাদ চৌধুরীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল স্যার মুক্তিযোদ্ধাদের কি একটি সঠিক তালিকা প্রণয়ন করা সম্ভব? স্যার বলেছিলেন এটা খুব কঠিন কাজ কারণ সেদিন যারা মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিল তখন তাদের বয়স ছিল ১৮ থেকে ত্রিশ বছর। প্রশিক্ষণ শিবিরে যারা প্রশিক্ষণ দিয়েছিল সেই সব গ্রুপ কমান্ডার সেক্টর কমান্ডার দীর্ঘদিন পর তাদের সনাক্ত করতে পারবে না। কারণ মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স এখন অনেক হয়েছে। তাদের চেহারাও পরিবর্তন হয়েছে। তাদের সহযোদ্ধারাও তাদের চিনতে পারবে না। তাই সেদিন স্যার বলছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় তার সহযোদ্ধারা ও গ্রামের জনতা দিতে পারবে। তাই ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের নির্দেশমত থানা, জেলা ও ইউনিয়নের বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে সারা বাংলাদেশে থানা ভিত্তিক এই কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কোন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যেন বাদ না পরে এবং কোন অমুক্তিযোদ্ধা যেন না ঢোকে। এই কমিটি কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের নির্দেশ মত স্ব স্ব থানায় বৈঠক করে এই যাচাই বাছাই কার্যক্রম শুরু করে। যাচাই বাছাই করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার নাম মুক্তিবার্তা নামে এক মাসিক পত্রিকায় প্রতি মাসে মাসে প্রকাশ হতে থাকে। কিন্তু অতিব দুঃখের বিষয় মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই কার্যক্রম শেষ হতে না হতেই আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে। পরবর্তীতে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে মুক্তিবার্তা পত্রিকাটি বাতিল করে। পত্রিকাটি বাতিল করার কারণে যেসব মুক্তিযোদ্ধাদের নাম মুক্তিবার্তায় প্রকাশ হয় নাই তাদের নাম জোট সরকার বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশ করেছিল। পাশাপাশি এই গেজেটে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক তোফায়েল আহাম্মদ কর্তৃক মুজিব বাহিনী সনদ, এমএজি ওসমানী কর্তৃক সনদ, কাদেরিয়া বাহিনী সনদ, হেমায়েত বাহিনী সনদ, আকবর বাহিনী সনদ, আফছার বাহিনী সনদ এবং যুদ্ধ শেষে ভারত থেকে ফেরত আসা প্রশিক্ষণ শিবির থেকে প্রাপ্ত যে সনদধারী মুক্তিযোদ্ধাদের নামও এই গেজেটে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। ফলে এই গেজেটে কিছু অমুক্তিযোদ্ধাও ঢুকে পড়ে।
২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করলে বিভিন্ন উপজেলা থেকে ২০১৫ সালের গেজেটের বিরুদ্ধ অভিযোগ আসতে থাকে। জননেত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ এক যুগ ধরে এই গেজেট পর্যালোচনা করে যাচাই বাছাই করে একটি সঠিক তালিকা প্রণয়ন করেন।

উল্লেখ্য যে জননেত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ১৯৯৬ সাল ক্ষমতায় এসে দুঃস্থ ও অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন মাসিক ৩০০/- টাকা ভাতা চালু করেন। পরবর্তীতে ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি করে ৫০০/- টাকা করেন এবং মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় গঠন করেন ও ২০০৫ সালে খালেদা সরকারের পতন ঘটলে তিন বছর পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসেন কিন্তু এ সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি করে নাই এবং মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে কোন পদক্ষেপও গ্রহণ করে নাই।

২০০৮ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে ঘোষণা করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা অস্বচ্ছল ও দুঃস্থ হতে পারে না। তিনি তাদের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য সকল মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার আওতায় এনে ভাতার পরিমাণ ২০০০/- টাকা করেন। এই ভাতা বৃদ্ধির সাথে সাথে অভিযোগপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই শুরু করেন। এই যাচাই বাছাই কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য ১৪/০১/২০১৫ ইং তারিখে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মাননীয় মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সুযোগ্য মন্ত্রী জনাব আ খ ম মোজাম্মেল হক সাহেব মুক্তিযুদ্ধার তালিকাভুক্তির জন্য এক প্রজ্ঞাপন জারী করেন।

এই প্রজ্ঞাপনে মুক্তিযোদ্ধাদের সংজ্ঞায় বলা হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বাধীনতার ঘোষণায় সাঁড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে ২৬ শে মার্চ হতে ১৬ই ডিসেম্বর পযন্ত সময়ের মধ্যে যে সকল ব্যক্তি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিল তারাই কেবলমাত্র মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে গণ্য হবে।

এই প্রজ্ঞাপনে ৮টি নীতিমালার ভিত্তিতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা ভুক্ত করেন। এই নীতি মালার আওতায় না আসলে সে ব্যক্তি কখনই মুক্তিযোদ্ধা হতে পারবে না।

নীতিমালা সমূহ (প্রজ্ঞাপন থেকে সংগৃহীত) :
১। ভারতে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত।
২। বাংলাদেশী পেশাজীবি যারা বিদেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছেন।
৩। মুজিব নগর সরকারের কর্মচারীবৃন্দ।
৪। সশস্ত্র বাহিনী যেমন পুলিশ, বিডিআর, আনছার যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল।
৫। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী এম.পি, এম.এন.এ গণ।
৬। টিভি ও রেডিওর শিল্পী কলা কুশলীগণ।
৭। সাংবাদিক, চিকিৎসক, নার্স ও সহকারীবৃন্দ।
৮। বিরঙ্গনা মহিলাগণ।

উক্ত ৮ প্রকার ব্যক্তিগণ মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃত। এই নীতিমালা প্রয়োগ করলে তিন লক্ষ মুক্তিযোদ্ধার মধে ১ লক্ষ ২০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা সরকার ঘোষিত এই নীতিমালার আওতায় আসতে পারেনি। বর্তমান ১ লক্ষ ৮৬ হাজার মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাচ্ছেন।

জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভাতা বৃদ্ধি করতে করতে বর্তমান ২০০০০/- টাকায় উন্নীত করেছেন। বর্তমান মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সঠিক তালিকা যেদিন প্রণয়ন হবে সেদিন শুধু মুক্তিযোদ্ধারা নন সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে দেশ ও দেশবাসী। সময়ের বিবর্তনে মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা একদিন শুন্যের কোটায় পৌছাবে। কিন্তু সেদিন থাকবে এই দেশ ও দেশবাসী আর থাকবে গর্ব করার মত একটি সঠিক তালিকা, একটি জ্বলন্ত ইতিহাস।

 

 

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন