নড়াইল অফিস :
নড়াইলের নড়াগাতী থানার খাশিয়াল ইউনিয়নের টোনা গ্রামে রেহানা বেগম নামে এক গৃহবধুর অপমৃত্যুর ৫ মাস পরে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর (বুধবার) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১-ক/৩০ ধারায় নিহতের ভাই মোঃ আল আমিন মীর বাদি হয়ে মামলা করেন। নিহত রেহানার স্বামীসহ ৫ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়,মামলা নং-৩।
এজাহারকৃত আসামীরা হলেন নড়াগাতি থানার টোনা গ্রামের নিহত রেহার স্বামী মোঃ নজরুল ইসলাম (৩৯), নাইমুল ইসলাম (৩৫), নুর আলম (৩২), নাইমুল ইসলামের স্ত্রী তহমিনা খাতুন এবং একই গ্রামের কবির হোসেনের স্ত্রী নুরজাহান (৩৮) ও খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানার সোনাকুড় গ্রামের মৃত হেমায়েত মীরের মেয়ে।
উলেখ্য গত ১ লা জুলাই/২১ তারিখে নিহত রেহানার স্বামী নজরুল ইসলাম মৃতের ভাইকে ফোন করে জানায় তার বোন আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু নিহতের পরিবার সেটা মেনে নিতে পারেনি। কারণ রেহানার স্বামী নজরুল ইসলাম প্রায়ই যৌতুকের দাবিতে তার ওপর নির্যাতন করত। দীর্ঘ ৫ মাস পর ৭ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) সুরতহাল রিপোর্টে জানা যায়, রেহানাকে নির্যাতন ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা করা হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১ লা আগষ্ট টোনা গ্রামের গোলাম নবীর ছেলে মোঃ নজরুল ইসলামের সহিত খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানার সোনাকুড় গ্রামের মৃত হেমায়েত মীরের মেয়ে রেহানার ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়। বিবাহ পরবর্তীতে যৌতুকের দাবিতে নজরুল রেহানাকে প্রায়ই শারীরিক ও মানষিকভাবে নির্যাতন করতো।
ঘটনার দিন ১ লা জুলাই/২১ তারিখ সকালে রেহানা তার ভাইকে ফোন করে তার ওপর ঘটে যাওয়া নির্যাতনের খবর দেয় এবং ওই দিনই রেহানার স্বামী নজরুল ইসলাম বিকাল সাড়ে ৫ টায় তার শশুর বাড়ী ফোন করে জানায় রেহানা আত্মহত্যা করেছে। তাদের ঘরে খাদিজা নামে ১০ মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
এ বিষয়ে নড়াগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোকসানা খাতুন জানান, সুরতহাল রিপোর্টের ভিত্তিতে নিহত রেহানার ভাই বাদি হয়ে ৫ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন এবং ৩ জনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকিদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।