হোম অন্যান্যসারাদেশ কালবৈশাখী ঝড়ের রাতে লুটেরাও যখন সমাজকর্মী

কালবৈশাখী ঝড়ের রাতে লুটেরাও যখন সমাজকর্মী

কর্তৃক
০ মন্তব্য 184 ভিউজ

জামালউদ্দীন:

করোনার মধ্যে কালবৈশাখী ঝড় সাতক্ষীরার মানুষের জন্য এক বিভীষিকাময় রাত। সব স্বপ্ন এক ঝড়ে আর শিলাবৃষ্টিতে তছনছ করে দিয়েছে। যার তান্ডব ৩০ মিনিট হলেও তা রাত ১২ টা পর্যন্ত যোগাযোগ ব্যাবস্থা বিচ্ছিন্ন করে রাখে।
গতকাল ৭ ই মে বৃহস্পতিবার ইফতারির পর নামাজ শেষে পাটকেলঘাটা বাজারে সবে বের হয়েছে।এমন সময় তিব্র বাতাসে সাথে মুষলধারে বৃষ্টি।আমার এক ভাতিজার সাথে সিমান্তের ভাতিয়ালী গ্রামে যেত হবে।সে প্রবাসী। তাই অন্য এক প্রবাসী তাকে কিছু টাকা পাঠিয়েছে।সেটা আনতে যেতে হবে। সাথে কিছু মালামাল আছে।ঐ রাতেই না গেলে তা আর পাওয়া যাবে না।সে কারনে আমরা গুড়ি,গুড়ি বৃষ্টির মধ্যে বের হলাম।সাতক্ষীরার লাবসা পার হওয়ার পর যশোর -সাতক্ষীরা সড়কের ঝাউডাঙ্গা বাজার পর্যন্ত ঝড়ে গাছ ভেঙ্গে পড়েছে।আটকাপড়েছে শত-শত যানবাহন। স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে সব গাছ সরিয়ে রাত ১২টার দিকে যোগাযোগ পুনরায় চালু করে।আমরা মোটরসাকেলের যোগে মাধবকাটি বাজার দিয়ে রেইউ বাজার,বালিয়াডাঙ্গা বাজার হয়ে কাজ মিটিয়ে ফিরে আসি।যাওয়ার সময় ৫ টা স্থানে মোটরসাকেলে শুন্যে করে গাছ পড়ে থাকা রাস্তা পার করি।আবারও একই পথে ফেরা। দেখা যায় স্থানীয়রা রাস্তায় পড়ে থাকা গাছ সরিয়ে তা উধাও করে দিয়েছে।মাধবকাটি বাজরে পৌছালে দেখা হয় সদর থানার পেট্রোল ডিউটিতে থাকা দলের সাথে।রাস্তার বেশিরভাগ স্থানে বিদ্যুৎ এর তার ছিড়ে পড়ে ছিল।রাত ১২ টায় বিদ্যুৎ কর্মিদের দেখে আমরা অবাক।কেননা এত রাতে মানুষের জন্য তাঁদের কাজ।সত্যই মানুষের জন্য বিদ্যুত চালু করতে নিরলস কর্মিদের গভীর রাতে ছুটে চলা।ফেরার সময় সব রাস্তা পরিস্কার। কিছু লোক ঐ রাতের পানিতে ভেঁসে আসা ধানের তাঁড়ি বা বিচালি কুড়িয়ে এক সাথে করছে
।আমাদের হাঠাৎ আসা তাঁদের কাছে অনেকটাই কিংকর্তব্যবিমূঢ়। কারন ধানগুলি তাঁদের চাষ করা না।তবুও আমাদের চলে আসা।সমস্থ রাস্তায় আমাদের সঙ্গী ছিল চাঁদ।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন