আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
করোনার ঊর্ধ্বগতির কারণে ঘোষিত লকডাউন ও বিধিনিষেধের প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। শনিবার রাতেও বিক্ষোভ অব্যাহত ছিল নেদারল্যান্ডসের বিভিন্ন শহরে। এসময় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। দাঙ্গা চলাকালে অন্তত সাতজনকে আটক করে পুলিশ। লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে অস্ট্রিয়াতেও। দেশটির কট্টর বামপন্থী দল এই বিক্ষোভের ডাক দেয়।
এদিকে, করোনার বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে হাজারো মানুষ আন্দোলন করেছে ক্রোয়েশিয়াতেও। কর্মক্ষেত্রে ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক করার প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের জন্য বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়।
স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে সহিংসতার পর শনিবার রাতেও নেদারল্যান্ডসের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ চালিয়ে যান হাজারো মানুষ। দেশটির অ্যামস্টারডাম শহরের ভ্যানগগ জাদুঘরের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।
রাতেও পুলিশকে লক্ষ্য করে বিস্ফোরক পটকা ছোঁড়েন বিক্ষোভকারীরা। এছাড়া হেগ শহরে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন তারা। এসময় অন্তত সাতজনকে আটক করে পুলিশ। এছাড়াও অ্যামস্টারডাম শহরের ড্যাম স্কয়ারের সামনে শান্তিপূর্ণ মিছিল করেন অনেকে।
এটি নেদারল্যান্ডসের ইতিহাসে কালো একটি অধ্যায়। লকডাউনের মধ্যে আমরা কোন কাজ করতে পারবোনা। তাহলে কিভাবে আমাদের জীবন চলবে। আমাদের ট্যাক্স ও বাসা ভাড়া সরকারকে পরিশোধ করতে হবে।
একজন বলেন, ’তিনশ মানুষ এখানে জাদুঘরের সামনে জড়ো হয়েছি। গতকাল রোটাডাম শহরের আমার অনেক বন্ধু আহত হয়েছে। আমরা তার বিচার চাই। সরকারের আইন মানলে আমাদের না খেয়ে মরতে হবে।’
এদিকে, লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে অস্ট্রিয়াতেও। হঠাৎ করেই দেশটিতে কোভিড সংক্রমণ বাড়ায় গেল শুক্রবার দেশটিতে অন্তত ১০ দিনের জন্য লকডাউনের ঘোষণা করে সরকার। দেশটির কট্টর বামপন্থী দল এর ডাক দেন। এদিন যেকোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাস্তায় মোতায়েন করা হয় নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েশ সদস্য।
অন্যদিকে, শনিবার জনসমুদ্রে পরিণত হয় ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগবের। সরকারের প্রণীত করোনার বিধিনিষেধের কারণে এদিন পনের হাজারের বেশি মানুষ সমাবেশ করেন। আগামী সোমবার সব সরকারি অফিসে করোনার সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়। যা মানতে নারাজ দেশটির মানুষ।
একজন বলেন, আমি এখানে করোনার পাসের বিপক্ষে সমর্থন দিতে এসেছি। সরকারের এমন সিধান্ত আমাদের কোন ভালো বয়ে আনবে না।
এছাড়াও কর্মক্ষেত্রে ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক করার প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের জন্য বিক্ষোভ হয়েছে অস্ট্রেলিয়াতে। শনিবারও সিডনি ও মেলবোর্নে মিছিল করেন তারা। এদিনও প্লেকার্ড ও ব্যানার হাতে সরকার প্রণীত মহামারী আইন প্রত্যাহারেরও দাবি জানান হাজার হাজার আন্দোলনকারী।
