আশাশুনি প্রতিনিধি :
আশাশুনিতে যথাযথ মর্যদায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত হয়েছে। বুধবার ১২ই রবিউল আওয়াল উপলক্ষে আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গুরুত্বপূর্ন এ দিনটি পালন করা হয়।
ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে দোয়া অনুষ্ঠানে চাপড়া জামে মসজিদে উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম, উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হুসেইন খাঁন, আশাশুনি থানা জামে মসজিদে ওসি মোহাম্মদ গোলাম কবীর সহ উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে ইউপি চেয়ারম্যান , জেলা পরিষদের সদস্যরা,মুক্তিযোদ্ধা ও আলেম ওলামারাসহ মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দ ঈদে মিলাদুন্নবীর গুরুত্ব তুলে ধরে আলোচনা রাখেন ।
বক্তাগন বলেন প্রায় এক হাজার ৪শত বছর আগে এই দিনে আরবের মরুপ্রান্তরে মা আমেনার কোলে জন্ম নিয়ে ছিলেন বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (স.)। আবার এই দিনেই তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলেও গিয়েছিলেন। জন্মের পরে পিতা মাতাকে হারিয়ে এতিম অবস্থায় প্রথমে দাদা আব্দুল মুত্তালিব ও পরে চাচা আবু তালিবের আশ্রয়ে বড় হন হজরত মুহাম্মদ (স.)। ৪০ বছর বয়সে নবুয়াত লাভের পর শুরু করেন মানুষকে সত্য সুন্দর ও শান্তির পথ প্রদর্শনের আন্দোলন। অনেক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে তিনি এ আন্দোলনে সফল হন। প্রতিষ্ঠা করেন সাম্য শান্তির অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র মদিনা মুনাওয়ারা। তিনিই সর্বপ্রথম মদিনা সনদ নামে শান্তিময় রাষ্ট্রের লিখিত সংবিধান প্রণয়ন করেন যা আজও বিশ্বের প্রথম লিখিত সংবিধান হিসেবে স্বীকৃত ও সম্মানিত। ইসলাম ধর্মমতে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ (স.) শেষ নবী। তাই তাঁর জন্ম ও ওফাত দিবস ১২ রবিউল আউয়াল মুসলমানদের কাছে একটি পবিত্র দিন। মুসলমানরা দিনটি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) হিসেবে পালন করেন।
বক্তরা আরও বলেন বঙ্গবন্ধুর অস¤প্রদাযক বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে ধর্মে-ধর্মে যাতে বিভেদ সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে সবার দৃষ্টি রাখতে হবে। দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল গফ্ফার , থানা জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ বাকি বিল্লাহ , সিদ্দিকিয়া জামে মসজিদের ইমাম মাওঃ আবু জাহেদ আব্দুল্লাহ, পরাতন জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ আবুজার গিফারী , চাপড়া বাস টার্মিনাল জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ অয়েজ কুরুনিসহ উপজেলা বিভিন্ন মসজিদের ইমামগন।