জাতীয় ডেস্ক :
পুরনো ছবি ও ভিডিও ফুটেজ ব্যবহার করে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়িয়ে দিচ্ছে একটি মহল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট বা শেয়ার দেওয়ার আগে সতর্ক হতে হবে। না হলে পড়তে হতে পারে আইনি জটিলতায়।
রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দুবাড়িতে আগুন দেওয়ার একটি ভিডিও ঘুরছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেই ভিডিও থেকে স্ক্রিনশট নিয়ে ছড়িয়ে দিচ্ছে বিভিন্ন গ্রুপ। তথ্য যাচাই করে দেখা গেছে-আগুনের ভিডিওটি রংপুরের নয় ভারতের ত্রিপুরার। গত ১২ অক্টোবর ত্রিপুরার কমলপুরের মরাছড়া এলাকায় পূজামণ্ডপ ও দোকানপাটে আগুন লাগার ঘটনা এটি।
জমি জমা নিয়ে বিরোধের জেরে রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় শাহীন নামে একজনকে। এ ঘটনায় ৩ আসামিকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। অথচ এই ভিডিওটিকেই নোয়াখালীর যতন সাহাকে হত্যার দৃশ্য বলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে একটি মহল।
কোরআন অবমাননার প্রতিবাদ করায় এক তরুণকে হত্যার এই খবরটিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অথচ ছবিটি দেড় বছরের পুরনো।
এছাড়া মিরপুরের কেন্দ্রীয় মন্দিরে হামলার বিষয়টিকে সাম্প্রতিক ঘটনা বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। অথচ এ ঘটনাটিও দেড় বছরের আগের। একটি সংগঠন বলছে- সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়াচ্ছে।
ফ্যাক্ট চেকার আপন দাস বলেন, আমরা অনেক ভিডিও পেয়েছি যা বেশ পুরনো। আমরা গুগলে সার্চ করে দেখেছি, প্রায় ভিডিওগুলোই নতুন বলে চালানো হচ্ছে। যা মিথ্যা।
ফ্যাক্ট ওয়াচ বলছে- সত্যতা যাচাই না করে সামাজিক মাধ্যমে ছবি, ভিডিও শেয়ার করার ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। এজন্য সহায়তা নিতে হবে তথ্য প্রযুক্তির।
আপন দাস আরও বলেন, মূল ধারার সংবাদমাধ্যমকে ফলো করতে হবে। লাখ লাখ ভিউ বা শেয়ার দেখলেই তাই ছড়িয়ে দেওয়া যাবে না। তাহলে যে শেয়ার দেবে দায়টাও কিন্তু তার ওপরই আসবে।
এর আগেও ৫ মে হেফাজতের তাণ্ডব নিয়ে গুজব, নিরাপদ সড়কের দাবির আন্দোলন নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছিল। একটি মহল যে কোনো ইস্যুতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে। সে কারণে সচেতন হওয়ার পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।