নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেক জালিয়াতির ঘটনায় নিজেদের রক্ষার্থে নিরাপদ ব্যক্তিকে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় একটি ভিডিও ফুটেজের সূত্র ধরে পুলিশের আটক হওয়া শেখ আমিনুর রশিদ এ অভিযোগ তুলে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগী শেখ আমিনুর রশিদ সুজন বলেন, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেক জালিয়াতি সংক্রান্ত বিষয়ে আসলে দায় ভার কে? শেখ আমিনুর রশিদ সুজন না জেলা পরিষদের ২ কর্মকর্তা। এস এম খলিলুর রহমান ও হিসাব রক্ষক আবু হুরাইরার কাছে প্রশ্নে জেলাবাসীর।
গত ২০২০ সালের ২৩জুলাই জেলা পরিষদের দাবিকৃত হারানো চেক ব্যাবহার করে নিয়ম বর্হিভুতভাবে সাতক্ষীরা সোনালী ব্যাংক থেকে ৬ লক্ষ টাকার চেক কোন ভ্যারিফায় না করে টাকা উত্তোলন হলো, বিষয়টি চমৎপ্রত ? ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজসে এমন ঘটনা তো ঘটতে পারে এখন জনগনের প্রশ্নের সম্মূখীন। উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপিয়ে বাঁচতে চায় জেলা পরিষদের ঐ দুই কর্মকর্তা।
জানা গেছে, বেওরিশ একটি প্রতিষ্ঠানের নাম করন করে নকল ফাইল অনুমোদন করে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলামের হুবহু সিল স্বাক্ষর ঐ ফাইলের স্বারক নং মিল রেখে উক্ত চেক অন্য কোনো ব্যক্তিকে দিয়ে ৬ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে। মন্ত্যবে এমন দূর্নীতি আমার অফিসের কেও না কেও জড়িত বলে মনে করছেন প্রতিষ্ঠানের কতৃপক্ষ। ২০২১ সালের ২৪আগস্ট মঙ্গলবার আমি অফিসিয়াল কাজে থাকাকালিন অবস্থায় গত এক বছর পূর্বে অজ্ঞাত মামলায় একটি পিছন ছাইডের একটি ছবি দেখিয়ে সন্ধেহ করে শেখ আমিনুর রশিদ সুজনকে ডিবি পুলিশ আটক করে।
জানা যায়, জেলা পরিষদের দুই কর্মকর্তা ফটোগ্রাফি দুই ভিডিও ক্যামেরা ম্যান মীর মোস্তফা আলীকে অর্থের লোভ দেখিয়ে তার কাছ থেকে বেওরিশ একটি ভিডিও ফুটেজ থেকে একটি স্থির ছবি তৈরি করে। জড়িত মোস্তফা বলতে পারে ঐ ভিডিও ফুটেজের রহস্য? অতপর জেলা পরিষদের দুই কর্মকর্তা সহ দুই ব্যাংক কর্মকর্তার উপস্থিতিতে তাদের যোগশাযোগে ডিবির উদ্ধার করা চেকের নমুনা অনুযায়ী একাধীকবার আমার ছবি সহ বিভিন্ন স্বাক্ষর নেই। আমার বাড়িঘর তল্লাশি করে প্রাথমিক কোন তথ্য প্রমান না পেলেও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেয়। জেলা পরিষদের দুই কর্মকর্তা ডিবি অফিসের তাদের ইশারা ইঙ্গিতে বিভিন্ন ছবির মতো ছবি তৈরি করে মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে ফাঁসিয়েছে। ২৭দিন জেল, ২দিনের রিমান্ড জিজ্ঞসাবাদ করেও কোনো তথ্য প্রমান খুজে পাইনি ডিবি পুলিশ। মামলাটি বর্তমানে সিআইডি বিভাগে তদন্ত চলছে।
উল্লেখ্য জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহবুবুর রহমান তার শ্যালক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম খলিলুর রহমান তার চাচাতো শ্যালক হিসাব রক্ষক আবু হুরাইরা সহ ভাগ্নে ছাড়াও নিকটতম আত্মীয় স্বজনে জেলা পরিষদ পরিচালিত হয়। শেখ আমিনুর রশিদ সুজন তার পরিবারকে নিয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তার স্ত্রী সহ সাড়ে ৩বছরের ছেলে জন্মেরপর থেকে থ্যালাসামিয়া মাইনর নামক কঠিন রোগে আক্রান্ত বিরতী হীন ভাবে ঢাকার একটি নিওরো সাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার শারিরিক, মানসিক, আর্থিক ভাবে সম্মূখীন।
গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে, মাননীয় আদালতের কাছে, জেলা পুলিশ প্রশাসনের কাছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সহ জেলা সচেতন সমাজের কাছে আকুল আবেদন। আমাকে নিরাপরাধ ভাবে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়ে জেলা পরিষদের দুই কর্মকর্তা এখন নিরব। মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে এবং সুষ্ঠ তদন্তে প্রকৃত দোষীদের খুজে এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান ভুক্তোভুগী পরিবার।
