সংকল্প ডেস্ক :
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে এক বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রকে মধ্যযুগীয় কায়দায় পিটিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে।
এঘটনায় থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪জনকে গ্রেপ্তার করেছে। আহত ওই শিক্ষার্থীর বোন শাহিনা ইসলাম বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় একটি মামলা নং-৩২(৯)২১ দায়ের করেছেন। ২৬সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১টার দিকে কলারোয়া পৌর সদরের তুলসীডাঙ্গা ব্র্যাক অফিসের এর পাশে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
ভিকটিম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর আলিফ আল ইমরান(২৩)। সে কলারোয়া পৌর সদরের তুলসীডাঙ্গা গ্রামের মৃত.রবিউল ইসলামের ছেলে এবং ঢাকাস্থ আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’তে সম্মান তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১বছর সে মানসিকভাবে অসুস্থ। তার চিকিৎসাও চলমান রয়েছে। ২৫ সেপ্টেম্বর বিকালে পূর্বের মতো মানসিক বিশৃঙ্খলা শুরু করে বাড়ির আসবাবপত্র ভাংচুর করতে থাকে। একপর্যায়ে পাশ্ববর্তী নজরুল ইসলামের গোয়াল ঘরের টিনশেডে আঘাত করে। পরে কলারোয়া থানা পুলিশ খবর পেয়ে মানসিক বিকারগ্রস্ত আলিফকে উদ্ধার করে পরামর্শ দিয়ে যায়।
এ ঘটনার সূত্র ধরে ২৬সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১টার দিকে পাশ্ববর্তী শাহ আলমের ছেলে নজরুল ইসলাম(৪০), রাসেল হোসেন(২৭), মৃত আব্দুল ওয়াহাবের ছেলে সফর আলী(৩৩), মোঃ শাহ আলম, সমরেশ ঘোষের পুত্র অমিত ঘোষ (৩৩), আবু বকরের ছেলে রুস্তম আলী সহ তাদের সঙ্গীয় কয়েকজন সন্ত্রাসী ভিকটিমের বসতবাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে। তারা ঘরের সম্মুখের বৈদ্যুতিক বাল্ব ভেঙে ভিকটিমকে বেদম মারধর করে।
একপর্যায়ে বাড়ির সম্মুখে বৈদ্যুতিক পিলারের সাথে বেধে নির্যাতন চালায়। এলাকাবাসী কলারোয়া থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে ভিকটিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তির পরামর্শ দেয়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, কিছুদিন পূর্বে ভিকটিমের পরিবারের সাথে ঐ হামলাকারী গ্রুপের বাড়ির পিছনের সীমানা নিয়ে বিরোধ বাধে এবং তার সূত্র ধরে প্রায়ই ভিকটিমের পরিবারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করতে উদ্যত হয়।
এই অত্যাচারমূলক কর্মকান্ডে নাজেহাল ঐ পরিবারটি প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মীর খায়রুল কবির বলেন, এঘটনায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। যার নং ৩২। এঘটনায় ইতিমধ্যে ৪জন এজাহার নামীয় আসামিকে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।