হোম জাতীয় ক্যান্সার-শ্বাসকষ্ট-গ্যাস্ট্রিকের নকল ওষুধ তৈরি করেন তারা

জাতীয় ডেস্ক :

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বহুল ব্যবহারিত নকল ওষুধ প্রস্তুতকারী চক্রের সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ পিস নকল ওষুধ।

বুধবার (০১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কাজলা, আরামবাগ ও মিটফোর্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার লালবাগ বিভাগ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- তরিকুল ইসলাম, সৈয়দ আল মামুন, সাইদুল ইসলাম, মনোয়ার, আবদুল লতিফ, নাজমুল ঢালী ও সাগর আহমেদ মিলন।

দেখে বোঝার উপায় নেই- কোনটি আসল, কোনটি নকল। গ্যাস্ট্রিক থেকে শুরু করে ক্যান্সার- জীবনরক্ষার নামে এসব ওষুধ যেন জীবননাশের আয়োজন। স্যাকলো আর মোনাসের মতো বহুল প্রচলিত নকল ওষুধ বাজারে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে নামমাত্র মূল্যে।

শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।

তিনি বলেন, একটি অসাধু চক্র নকল ওষুধ বাজারজাত করছে। এ চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ। ধারাবাহিক অভিযানে এ প্রতারক চক্রের ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, গ্রেপ্তার তরিকুল ইসলাম ও সৈয়দ আল মামুন কারখানা স্থাপন করে জীবন রক্ষাকারী এ সকল নকল ওষুধ তৈরি করে। সাইদুল ইসলাম এ নকল ওষুধ তৈরির প্রধান কারিগর, মনোয়ার এ্যালো এ্যালো ফয়েল ও আবদুল লতিফ ওষুধ পাতায় ছাপ দেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ উপাদানসহ সিলিন্ডার সরবরাহ করতো। গ্রেপ্তার নাজমুল ঢালী ওষুধের বক্সে ছাপ দেয়ার পর তৈরি এ সকল নকল ওষুধ গ্রেপ্তার সাগর আহমেদ মিলনের নেতৃত্বে মিটফোর্ডের কয়েকটি গ্রুপের মাধ্যমে বাজারজাত করা হত।

তিনি বলেন, এই সকল ওষুধের ইনগ্রিডিয়েন্টসে মূলত প্রয়োজনীয় কোনও সক্রিয় উপাদান থাকে না। এছাড়া মেইন স্টার্চ নিম্ন গ্রেডের ব্যবহৃত হয়। এমনকি স্টেরয়েড ও ডাই ব্যবহৃত হতে পারে। নন ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রেডের এসব কেমিক্যাল সেবনের ফলে মানুষের কিডনি, লিভার, হৃদযন্ত্র এর মারাত্নক ক্ষতি হতে পারে। এ সকল নকল ওষুধ সাধারণ মানুষের জন্য মরণ ফাঁদ।

হাফিজ আক্তার বলেন, বিশ্ব বাজারে ১৪৫ টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশের ওষুধ। ভেজাল এবং নকল ওষুধ এই সুনাম এবং আস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। মফস্বলের ওষুধ ফার্মেসিগুলোকে টার্গেট করে একটি অসাধু সংঘবদ্ধ চক্র সারাদেশে ভেজাল ও নকল ওষুধ ছড়িয়ে দিচ্ছে। এ ধরনের ওষুধ মাদকের চেয়েও ভয়াবহ।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, যদি কেউ আমাদের নকল ওষুধ কারখানা সমন্ধে অবগত করেন তাহলে আমরা কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বংশাল থানায় করা মামলায় আদালতে পাঠানোর পর তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন