হোম ফিচার সাতক্ষীরা পৌর দীঘিতে সাঁতার কাটতে নেমে নিখোঁজ মোহিবুল্লাহ সরদারের মরদেহ তিন ঘন্টা পর উদ্ধার করেছে ডুবুরিদল

নিজস্ব প্রতিনিধি :

শখের বশে সাঁতার কাটতে গিয়ে সাতক্ষীরা শহরের পৌর দীঘিতে নিখোঁজ সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের নকল নবিশ মোহিবুল্লাহ সরদারের মরদেহ তিনঘন্টা পর উদ্ধার করেছে ডুবুরিদল। রোববার রাত ১১ টার দিকে খুলনা থেকে আসা ৩ সদস্যের একদল ডুবুরি তার মরদেহ উদ্ধার করে।

নিখোঁজ নকলনবীশ মোহিবুল্লাহ সরদার (৪৫) সদর উপজেলার শাল্যে মাঝেরপাড়া গ্রামের দ্বীন আলী সরদারের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার রাত ৮টার দিকে শহরের মুনজিতপুরের পৌর দীঘিতে সাঁতার কাটতে নেমেছিলেন সাতক্ষীরা সদর রেজিস্ট্রি অফিসের সাব রেজিস্ট্রার মশিউর রহমান ও তার দুই সহযোগী নকলনবীশ রাসেল ও শ্যাল্যে গ্রামের মোহিবুল্লাহ সরদার। মহিবুল্লাহ সাঁতার কেটে দীঘির পূর্ব পাশের ঘাট থেকে পশ্চিম পার্শের ঘাটে যাওয়ার সময় মাঝ পর্যায়ে গিয়ে অসুস্থ হয়ে চিৎকার করতে থাকলে রাসেল তার কাছে গিয়ে পানির উপরে তুলতে ব্যর্থ হন।

এ ঘটনা জানাজানি হবার পর পৌর দীঘির পাড়ে হাজার হাজার কৌতুহলী মানুষের ভীড় জমে যায়। তাকে উদ্ধারে নেমে পড়ে ফায়ার ব্রিগেড ও পুলিশসহ অন্যান্যরা। রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মহিবুল্লাহকে তারা খুঁজে পাননি। পরে খুলনা থেকে আসা এক দল ডুবুরি দীঘিতে নেমে মোহিবুল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করেন।

সাতক্ষীরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার কামরুল ইসলাম জানান, দীঘির পানির গভীরতা ২৫ থেকে ৩০ হাত হতে পারে। সেখানে মোহিবুল্লাহকে অনেক খোঁজাখঁজি করে না পাওয়ায় পরে খুলনা থেকে ডুবুরী নিয়ে তাকে খোঁজার জন্য পানিতে নামানো হয়। এক পর্যায়ে রাত ১১ টার দিকে মোহিবুল্লাহর মরদেহ পৌর দীঘির পানির নিচ থেকে তারা উদ্ধার করেন।

সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক বাবুল আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সাঁতার কাটার এক পর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন বলে জানা গেছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন