নড়াইল অফিস :
নড়াইলের লোহাগড়া বাজারে জোর করে একটি দোকান দখলের প্রতিবাদে আড়াই ঘণ্টা ধরে দোকান- বন্ধ রাখেন ব্যবসায়ীরা। ১৬ আগস্ট সোমবার সকাল সাড়ে সাতটা থেকে ১০টা পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানান। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) হস্তক্ষেপে বিষয়টি মীমাংশ হয়।
ব্যাবসায়ীরা জানান, আজ ভোরে বণিক সমিতির পক্ষ থেকে মাইকিং করে দোকান-পাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। বাজারের একটি দোকানের মালিকানা নিয়ে লক্ষীপাশার কাবেরি সুলতানা ও হোসনেয়ারা পারভীনের সঙ্গে চাচই গ্রামের গোলাম মোস্তফার বিরোধ চলছে দীর্ঘদিন। উভয়ই এর মালিকানা দাবি করেন। এ নিয়ে আদালতে মামলাও চলছে। হঠাৎ করে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় গোলাম মোস্তফার পক্ষে কিছু লোক দোকানের দখল নেন।
কাবেরি সুলতানা ও হোসনেয়ারা পারভীন অভিযোগ করেন, আমাদের নিজস্ব দোকান। ৩০-৪০ বছর ধরে এর মালিকানা আমাদের। সম্প্রতি একটি ভূমিদস্যু চক্র দোকান দখলে নেওয়ার জন্য ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে। তাঁরা গতকাল সন্ধ্যায় দোকান ভাঙচুর করে মালামাল লুট করে এবং জোর করে দোকানের দখল নেয়। এর নেতৃত্ব দেন বাজার বণিক সমিতির সহসভাপতি আহাদ শিকদার।
তাঁরা জানান, এর আগে বিকেলে থানায় এ নিয়ে বৈঠক হয়। সে বৈঠকে লোহাগড়া থানার ওসি উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকের পরই ওই চক্র সন্ত্রাসী স্টাইলে দোকান দখল করে।
বণিক সমিতির সভাপতি ইবাদত শিকদার জানান, থানায় বৈঠকের পরপরই সেখান থেকে বের হয়ে এসে আহাদ শিকদারের নেতৃতে সন্ত্রাসী স্টাইলে দোকান দখল করে। এর প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা দোকান-পাট বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানায়। পরে ইউএনও মীমাংসার আশ্বাস দিলে ১০টায় দোকান-পাট খোলা হয়। এখন ওই দোকানে কেউ যেতে পারবেন না। এ নির্দেশ দিয়েছেন ইউএনও।
আহাদ শিকদার বলেন, ‘কাগজপত্র গোলাম মোস্তফার পক্ষে। ওসি সাহেবের সঙ্গে থানায় বৈঠক করে দোকান খুলে নিয়েছি। কোনো ভাঙচুর বা লুটপাট হয়নি।’
লোহাগড়া থানার ওসি শেখ আবু হেনা মিলন বলেন, ‘থানার বৈঠকে বলেছিলাম এখানে পুলিশের কিছু করার নেই। এখন পুলিশ খুলতেও বলবে না, খুলতে বাধাও দেবে না।’