মান্না দে, ফকিরহাট (বাগেরহাট) :
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার লখপুর ইউনিয়নের খাজুরা জাহাজঘাটা নামক স্থানে ভেড়ীবাঁধে ভাঙ্গন এখন চরম আকার ধারণ করেছে। অতিবর্ষণ আর জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলে ভেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে দুইটি গ্রামে বসবাসরত কয়েক হাজার পরিবার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন এলাকাবাসী। অতিদ্রুত ভেড়ীবাঁধের একপার্শ্বে টেকসই পাইলিং সহ ভেড়ীবাঁধ পূনঃ মেরামত করার জন্য স্থানীয় জনগন বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এলাকাবাসী জানায়, খাজুরা মোড় হতে আশ্রায়ন প্রকল্প ও খাজুরা ১০ গেটের উপর দিয়ে লখপুর কাহারডাঙ্গা জামে মসজিদ পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ড পানি রক্ষা ভেড়ীবাঁধ নির্মাণ করেন। এই বেড়ীবাঁধের কারনে যুগীখালী নদীর উজান ও জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করতে পারে না। কিন্তু চলতি বর্ষা মৌসুমে প্রবল বৃষ্টি আর উজানের পানির চাপে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নির্মিত ভেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে তা এখন চরম থেকে চরম আকার ধারন করেছে। যে কোন মুর্হুতে ভেড়ীবাঁধের বিভিন্ন অংশে ভেঙ্গে জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের চরম ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
ভেড়ীবাঁধের উপরের অংশে বসবাসরত মোঃ আজিত শেখ, মোঃ গফফার শেখ, মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, আশরাফ শেখ ও পল্লী চিকিৎসায়ক মিকাইল হোসেন বলেন, ভেড়ীবাঁধের একটি অংশে ছোট একটি কালভার্ট রয়েছে। কালভার্টের নিচের অংশ ভেঙ্গে সেখান থেকে প্রথমে ছিদ্র হয়ে পানি উঠানামা করতে করতে তা এখন বড় আকার ধারন করেছে। এছাড়া প্রবাহমান যুগীখালী নদীর পূর্ব পার্শ্বে কয়েকটি বাঁশ কেটে তা দিয়ে দায়সারা পাইলিং দেওয়া হয়েছে। যা ভেড়ীবাঁধে তেমন কোন উপকারে আসেনি।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ভারী বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলে যে কোন মুহুর্তে ভেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে যেতে পারে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আলী আহম্মদ বলেন, ভেড়ীবাঁধে প্রথমে ফাটল ও পরে ৪এর ৩অংশ ভেঙ্গে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অতিদ্রæত ভেঙ্গে যাওয়া স্থানে টেকসই পাইলিং সহ সংস্কার করা না হলে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করলে তা হবে কৃষি জমিসহ জনগনের ক্ষতি হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বপন দাশ বলেন, ভেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার বিষয়টি তিনি অবগত হয়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করে অতিদ্রæত ভেড়ীবাঁধটি মেরামত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।