মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :
মণিরামপুরে শামিম হোসেন (২৫) নামে এক যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সন্ধ্যায় তাকে মদনপুর কলেজ মোড়ে মারপিট করা হয়। তিনি মণিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। রোহিতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু আনছার সরদার ও তার লোকজন শামিমকে মারপিট করেছেন বলে ভুক্তভোগীর অভিযোগ।শামিম রোহিতা ইউনিয়নের ছোট সালামতপুর গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে। মদনপুর কলেজ মোড়ে তার এজেন্ট ব্যাংকিং-এর ব্যবসা রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতের স্বজনরা জানান, মদনপুর কলেজ মোড়ে ভাড়া দেওয়ার জন্য শামিমদের নিজস্ব ভবন রয়েছে। দুইমাস আসে সেখানে আন্ডারগ্রাউন্ডের বড় একটি কক্ষ মাসিক আড়াই হাজার টাকা চুক্তিতে ভাড়া নেন চেয়ারম্যান আনছার সরদার। কক্ষটি ব্যবসার উপযোগী করতে চেয়ারম্যান মালিকপক্ষকে অগ্রিম দুই লাখ টাকা দেন। ঘর ঠিকঠাক করা হলে চেয়ারম্যান ঘর নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে টাকা ফেরত চান।
টাকা দিতে দেরি হওয়ায় সোমবার সন্ধ্যায় চেয়ারম্যান মোড়ে গিয়ে শামিমকে গালমন্দ করতে থাকেন। প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যান নিজের সরসকাঠি গ্রামের ১৫-২০ জনকে মোবাইল ফোনে ডেকে আনেন। পরে চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে তারা শামিমকে মেরে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে যান।
ভাই সবুজ হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে শামিমকে মণিরামপুর হাসপাতালে ভর্তি করেছি।’
জানতে চাইলে চেয়ারম্যান আনছার সরদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘দোকান দেবে বলে আমার কাছ থেকে ওরা দুই লাখ টাকা নিয়েছে। পরে দোকান ঠিক করে আমাকে না দিয়ে অন্যত্র ভাড়া দিয়েছে। টাকা চাইতে গেলে শামিম আমাকে ধাক্কা দেয়। পরে পোলাপান খবর পেয়ে সেখানে গেছে। তারা দুই-চার চড়-থাপ্পড় দেছে।’
খেদাপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই গোলাম রসুল বলেন, চেয়ারম্যান টাকা পাবেন। সেই টাকা চাওয়া নিয়ে ধস্তাধস্তি; পরে হাতাহাতি হয়েছে।