পিরোজপুর অফিস :
পিরোজপুরের কাউখালীতে স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে ভিডিও মোবাইলে ধারন করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছাড়িয়ে দেয়ার হুমকী দেওয়ার ভয়ে ধর্ষনের শিকার স্কুল ছাত্রী সাদিয়া আক্তার আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ মো. সাকিল হোসেন (২৩) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছেন। গ্রেফতারকৃত ওই যুবক উপজেলার কাঁঠালিয়া গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে। গন ধর্ষনের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করা ওই স্কুল ছাত্রী উপজেলার ছোট বিড়ালজুড়ি গ্রামের সেলিম হোসেনের কন্যা ও কাঠালিয়া স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেনীর ছাত্রী। এ ঘটনায় ওই স্কুল ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার (২২জুলাই) রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
জানা গেছে, উপজেলার ছোট বিড়ালজুড়ি গ্রামে সেলিম হোসেনের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে ও কাঠালিয়া স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া আক্তার(১৫)কে উপজেলার কাঠালিয়া গ্রামের তোফাজ্জেল খান এর ছেলে সজিব খান(২৪), মোঃ জাকির হোসেন খান এর ছেলে মোঃ সাকিল (২৩) এবং হাবিব মীরের ছেলে মোঃ আকাশ মীর(২৪) সহ ৪-৫জন প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো । এক পর্যায় গত ১৬ জুলাই ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনকারীরা মোবাইল ফোনে ডেকে এনে স্থানীয় হাবিব মীরের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে বখাটেরা স্কুল ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তা মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে । পরবর্তী সময় আবারও ধর্ষনকারীরা তাকে মোবাইল ফোনে কুপ্রস্তাব দেয়। এতে সে রাজি না হওয়ায় আপত্তিকর ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে মোবাইল ফোনে হুমকী দেয় । এক পর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হলে স্কুল ছাত্রী লজ্জায় ও ক্ষোভে নিজ ঘরের বারান্দায় ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। প্রতিবেশীরা টের পেয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ জুলাই তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) বনী আমিন জানান, কিশোরীকে আত্মহত্যার প্ররোচনায় বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) রাতে মামলা হয়েছে এবং ওই রাতেই একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামীদের আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মামলার তদন্ত ও আসামীদের গ্রেফতারের স্বার্থে এখনই সকল তথ্য প্রকাশ করা যাচ্ছে না।