হোম আন্তর্জাতিক উষ্ণতার রেকর্ড ভাঙতে পারে ২০২০: আবহাওয়াবিদদের সতর্কতা

উষ্ণতার রেকর্ড ভাঙতে পারে ২০২০: আবহাওয়াবিদদের সতর্কতা

কর্তৃক
০ মন্তব্য 77 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক:

রেকর্ড রাখা শুরু হওয়ার পর থেকে এই বছরই সবচেয়ে বেশি উষ্ণ বছর হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন আবহাওয়াবিদরা। বিজ্ঞানীদের ধারণা ২০২০ সাল সর্বোচ্চ উষ্ণ হওয়ার ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশ সুযোগ রয়েছে। করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে সাময়িকভাবে আকাশ পরিষ্কার হলেও জলবায়ু ঠাণ্ডা হতে তা কোনও ভূমিকা রাখছে না বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। এজন্য দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান এই খবর জানিয়েছে।

এই বছরের জানুয়ারিতে অ্যান্টার্কটিক থেকে শুরু করে গ্রিনল্যান্ড পর্যন্ত তাপমাত্রা রেকর্ড ভেঙেছে। এল নিনো না থাকার পরও এমন তাপমাত্রায় অবাক হয়েছেন অনেক বিজ্ঞানী। সাধারণত এল নিনোর প্রভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সামুদ্রিক ও বায়ুমণ্ডলীয় প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী, রেকর্ড রাখা শুরুর পর থেকে ২০২০ সাল সর্বোচ্চ উষ্ণ বছর হওয়ার ৭৫ শতাংশ সুযোগ রয়েছে। মার্কিন সংস্থাটি বলছে বর্তমান প্রবণতার সঙ্গে ২০১৫ সালের প্রবণতার মিল রয়েছে। সংস্থাটি বলছে, ২০২০ সাল সর্বোচ্চ উষ্ণ পাঁচটি বছরের একটি হওয়ার ৯৯.৯ শতাংশ সুযোগ রয়েছে।

আলাদা আর একটি হিসাবে নিউ ইয়র্কের একটি স্পেস স্টাডিজ ইনস্টিটিউটের পরিচালক গেভিন স্মিট দেখিয়েছেন ২০২০ সাল নতুন রেকর্ড গড়তে পারার ৬০ শতাংশ সুযোগ রয়েছে। ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, ২০১৫ সাল থেকে শুরু হওয়া উষ্ণতম বছরগুলোর মেয়াদ এই বছর পর্যন্ত বাড়তে পারে।

উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরেই অস্বাভাবিক তাপমাত্রা প্রায় স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে এসেছে। এই বছরের জানুয়ারি ছিলো সবচেয়ে উষ্ণ। এই সময় আর্কটিক অঞ্চলের কয়েকটি দেশের রাজধানীতে বরফই পড়েনি।

পূর্ব ইউরোপ ও এশিয়ায় এই বছরের প্রথম চতুর্থাংশে তাপমাত্রা বেড়েছে গড়ে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বড় অংশেও গরম বেড়েছে। গত শুক্রবার লস অ্যাঞ্জেলসে এপ্রিল মাসের রেকর্ড তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি স্পর্শ করে। অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম অংশেও রেকর্ড গরম অনুভূত হচ্ছে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ু বিজ্ঞানী কারস্টেইন হউস্টেইন বলেন, বৈষ্ণিক উষ্ণতা প্রাক শিল্পায়ন যুগের ১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর উঠে যাওয়ার কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছে। করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে সাময়িকভাবে নতুন করে কার্বন নিঃসরণ কমলেও তিনি বলছেন, বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউজ গ্যাস তৈরি এখনও বড় উদ্বেগ হিসেবে থেকে গেছে। তিনি বলেন, জলবায়ু সংকট এখনও অক্ষুণ্ন রয়ে গেছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন