আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ফিলিস্তিনে বিগত ৮দিন ধরে বোমাবাজি আর বিমান হামলা চালিয়ে নির্বিচারে মানুষ হত্যায় মেতেছে দখলদার ইসরায়েল। ইহুদিদের এই আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৫৮ শিশু ও ৩৪ নারীসহ দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১২৩০ জন।
গাজা উপত্যকার উপর ইসরায়েলের এই বর্বরোচিত আগ্রাসনের প্রতিবাদে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও ইসলামি জিহাদ ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবসহ বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হাজার হাজার রকেট নিক্ষেপ করেছে।
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনগুলোর ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা শক্তিশালী হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন একজন শীর্ষস্থানীয় ইসরাইলি জেনারেল। তিনি বলেছেন, ইসরায়েল গাজার বিরুদ্ধে চলমান সংঘর্ষে এ যাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক রকেট হামলার শিকার হয়েছে।
ইহুদিবাদী ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হোম ফ্রন্টের কমান্ডার মেজর জেনারেল ওরি গরডিন রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত কয়েকদিনে গাজা থেকে প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো ইসরাইল অভিমুখে প্রায় তিন হাজার রকেট নিক্ষেপ করেছে। এর আগে ২০১৯ সালের সংঘর্ষে গাজা থেকে এত বেশি রকেট নিক্ষেপ করা হয়নি এবং ২০০৬ সালের সংঘর্ষে লেবাননের হিজবুল্লাহও এত বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেনি।
জেনারেল গরডিন একটি গ্রাফিক দেখিয়ে বলেন, ২০১৯ সালের নভেম্বরে তিন দিনের সংঘাতে গাজা-ভিত্তিক ইসলামি জিহাদ আন্দোলন মাত্র ৫৭০টি রকেট নিক্ষেপ করেছিল। এছাড়া, ২০০৬ সালে লেবাননের হিজবুল্লাহ ১৯ দিনে ইসরায়েলের বিভিন্ন অবস্থান লক্ষ্য করে মোট ৪,৫০০ রকেট ছুড়েছিল। ইসরায়েলি এই জেনারেল বলেন, দিনের হিসাবে গড়ে বর্তমান সংঘর্ষে সর্বাধিক রকেট নিক্ষেপ করেছে ফিলিস্তিনিরা।
গাজা উপত্যকার উপর ইসরায়েলের বর্বরোচিত আগ্রাসনের প্রতিবাদে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও ইসলামি জিহাদ ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবসহ বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হাজার হাজার রকেট নিক্ষেপ করেছে। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ৫৫ নারী ও ৩৩ শিশুসহ ১৮৮ ফিলিস্তিনি শহীদ এবং ১২৩০ জন আহত হয়েছেন।