পিরোজপুর অফিস :
পিরোজপুরের ১০ গ্রামের সহস্রাধীক পরিবার বৃহস্পতিবার (১৩মে) ঈদ পালন করছেন। সৌদী আরবের সাথে মিল রেখে এসব পরিবার ঈদ পালন করছেন বলে তারা জানান। জানা গেছে, জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার ৬ গ্রাম, কাউখালী উপজেলার ১টি গ্রাম, নাজিরপুরের ১টি গ্রাম, পিরোজপুর সদরের ২টি গ্রাম এ ঈদ উৎসব পালন হচ্ছে।
স্থাণীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার মঠাবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের ভাইজোড়া, কচুবাড়িয়া, সাপলেজা, ঝাটিবুনিয়া, খেতাছিড়া ও চকরগাছিয়া এ ৬ গ্রামের প্রায় ৬ শতাধিক, জেলার কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের শিয়ালকাঠী গ্রামের ৭৫/৮০ পরিবার, জেলার নাজিরপুর উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের খেজুরতলা গ্রামের ৫০ পরিবার, জেলার সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের কদমতলা ও একপাই জুজখোলা গ্রামের প্রায় ৬০ পরিবার ঈদ পালন করছেন।
জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল আলম খন্দকার জানান, সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে বৃহস্পতিবার (১৩মে) সকাল সাড়ে ৯টায় স্বাস্থ্য বিধি মেনে স্থানীয় ভাইজোড়া গ্রামের ২টি ও কচুবুনিয়া গ্রামের ১টি, খেতাচিড়া গ্রামের ১টি, চরকগাছিয়া গ্রামের ১টি ও সাপলেজা গ্রামের ১টি এ ৬টি মসজিদে ঈদ-উল-ফিতরের নামাজের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলার নাজিরপুরের শেখমাটিয়া ইউনিয়নের খেজুরতলা ইউপি সদস্য মো. বাবুল খান বাংলা নিউজকে জানান, তারা ৫০পরিবারের ৪০ পুরুষ স্থাণীয় খেজুরতলা বাজারের আল-আমিন মসজিদে বৃহস্পতিবার (১৩মে) সকাল ৯টায় ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।ওই নামাজে ইমামতি করেন স্থানীয় স্কুল শিক্ষক মো. কামরুজ্জামান।
তারা প্রায় এক যুগেরও বেশী ধরে এ মসজিদে ঈদের নামাজ জামায়াতের সাথে আদায় করছেন। তিনি আরো জানান, তারা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে গত ১৩ এপ্রিল মঙ্গলবার থেকে রোজা শুরু করেন। আর সে অনুযায়ী গতকাল বুধবার (১২মে) তাদের ৩০টি রোজা পূর্ণ হওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মে) তারা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। ওই মসজিদের নামাজ পড়তে আসা বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলার হোগলা গ্রামের ইমাম হোসেন জানান, আমাদের গ্রামের কোন জামায়াত না হওয়ায় আমরা ঈদের জামায়াত আদায় করতে এখানে এসেছি।
জেলার কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠী গ্রামের মো. মারুফ হোসেন জানান, স্থাণীয় শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের জবলতলা গ্রামের মসজিদ উদ তাকওয়ায় তারা সকাল ৮টায় ঈদের জামায়াত আদায় করেছেন। ওই মসজিদের ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন শিকদার ওই নামাজে ইমামতি করেন । এখানে প্রায় শতাধীক পুরুষ এখানে নামাজ আদায় করেছেন। উল্লেখ্য, শুরেশ্বর পীরের অনুসারীরা প্রতি বছর সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রমজান (ঈদ-উল-ফিতর) ও কোরবানীর (ঈদ-উল-আযহা) দুই ঈদ পালন করে থাকেন।