স্টাফ রিপোর্টার, কেশবপুর (যশোর) :
যশোরের কেশবপুরে শুক্রবার দুপুরে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় সরকারি মানবিক সহায়তা দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে পৌরসভার বালিয়াডাঙ্গা ওয়ার্ডের সাইক্লোন সেন্টারে। আহতদের উদ্ধার করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে গুরুত্বর আহত ৩ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ সময় ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় সরকারি মানবিক সহায়তা বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। পুলিশ খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকাবাসী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌরসভার ৯ নম্বর বালিয়াডাঙ্গা ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর শেখ এবাদত সিদ্দিক বিপুল এবং পৌর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ গ্রুপের সমর্থকরা শুক্রবার দুপুরের দিকে বালিয়াডাঙ্গা সাইক্লোন সেন্টারে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে ৪শ ৫০টাকা করে সরকারি সহায়তা দেওয়ার সময় কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
শেখ এবাদত সিদ্দিক বিপুল ও আবুল কালাম আজাদ গত পৌর নির্বাচনে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে একে অপরের প্রতিদ্বন্দী ছিলেন। সংঘর্ষ চলাকালে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে কাউন্সিলর শেখ এবাদত সিদ্দিক বিপুল গ্রুপের সমর্থক বালিয়াডাঙ্গা এলাকার মেহেদী হাসান (৩২), সোহেল রানা (৩২), আমীর আলী (৫০), আব্দুর রশিদ, আফছার আলী (৬৫) ও আবুল কালাম আজাদ গ্রæপের সমর্থক সোহান (২৫), মারুফ (৩৫), জাহিদ (২৫), রাজু (২৫), কুদ্দুস (২৭), নাজমুল (২২) এবং ফাতেমা বেগম (৪০) আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে এলাকাবাসী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এর মধ্যে গুরুত্বর আহত সোহান, নাজমুল ও সোহেল রানাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় শেখ এবাদত সিদ্দিক বিপুল ও আবুল কালাম আজাদ একে অপরকে দোষারোপ করে বলেন, পরিকল্পিতভাবে তাদের সমর্থকদের উপর ওই হামলা করা হয়েছে। সরকারি সহায়তা বিতরণকারী পৌরসভার অফিস সহকারি হাবিবুর রহমান জানান, বালিয়াডাঙ্গা সাইক্লোন সেন্টারে দুপক্ষের সংঘর্ষের কারণে তাৎক্ষণিকভাবে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় সরকারি মানবিক সহায়তা বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত করে দেওয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আহসানুল মিজান রুমী বলেন, হাসপাতালে ১১ জন ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্য থেকে ২ জনকে রেফার্ড করা হয়েছে। বাকি ৪ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বোরহান উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। কেউ অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ভিতর চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।