সুুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সুুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের পুরাতন লক্ষণশ্রী গুচ্ছগ্রামের ১৫নং ঘরের এক দিনমুজুর বিধবার ৮ বছরের এক কন্যা শিশুকে ধর্ষণ মামলায় প্রধান আসামী ধর্ষণকারী মো. রিপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র্যাব-৯ এর সদস্যরা।
মঙ্গলবার ভোরে র্যাব সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব -৯ এর সুনামগঞ্জ অঞ্চলের অধিনাক লেঃ কমান্ডার সিনঞ্জন আহমেদ এর নেতৃত্বে র্যাব সদস্যরা টুকেরবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে এবং বিকেলে তাকে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়। ধর্ষনকারী গৌরারং ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামের ১৪নং ঘরের মো. আলাউর রহমানের বিবাহিত ছেলে মো. রিপন মিয়া(২৫)।
ধর্ষনের ঘটনাটি ঘটেছিল গত পহেলা মে দুপুরে শিশুটির নিজ বসতঘরে। ধর্ষনকারী শিশুটিকে ঘরে একা পেয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে মুখে চাপা দিয়ে ধর্ষণকারী শিশুটিকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর গুচ্ছগ্রাম কমিটির সভাপতি মো. রইছ মিয়া ও ৩নং ওয়ার্ডের সম্ভাব্য ইউপি সদস্য প্রার্থী কুতুবপুর গ্রামের মো. মাহবুবুর রহমান চৌধুরী(মবু)সহ ৪/৫জন সালিশ ব্যক্তিরা বিষয়টিকে ধামাচাপা দিয়ে কালক্ষেপন করে সময় অতিবাহিত করেছিলেন বলে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা জানান। বিষয়টি পরে গণমাধ্যমকর্মীদের নজরে আসার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে গত ৩রা মে ঐ নির্যাতিত শিশু ও তার মাকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় ধর্ষিতা শিশুটির মা নিজে বাদি হয়ে ধর্ষণকারী মো. রিপন মিয়া,তার পিতা আলাউর রহমান ও মাতা সুফিয়া বেগমকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৫।
উল্লেখ্য ঘটনার দিন সকালে ধর্ষিতার মা ৪ সন্তানের জননী দিনমুজুর অবুঝ শিশুটিকে ঘরে রেখে পাথর ভাঙ্গার কাজে বাড়ির বাহিরে চলে যাওয়ার পর ঐ শিশুটি তার ঘরে একা ঘুমিয়ে ছিল। এই সুযোগ বুঝে ধর্ষণকারী রিপন মিয়া খালিঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে শিশুটির মুখে চাপা দিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে শিশুটি অধিক রক্তখননে চিৎকার শুরু করলে ধর্ষনকারী পালিয়ে যায়। শিশুটির মা বাড়িতে এসে তার শিশুকন্যাটির রক্তখনন দেখে এই গুচ্ছগ্রামের সভাপতি রইছ মিয়া ও মাহবুবুর রহমান চৌধুরীসহ গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টি অবহিত করার পরই তারা সালিশের নামে সময় কালক্ষেপন করে সময় অতিবাহিত করেন।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুর রহমান ধর্ষণকারীকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ ব্যাপারে র্যাব-৯ এর সুনামগঞ্জ অঞ্চলের অধিনায়ক লে: কমান্ডার সিনঞ্জন আহমদ গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান যে যতবড় অপরাধিই হোক র্যাব সদস্যরা ঐ সমস্ত অপরাধিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর।