স্টাফ রির্পোটার, কেশবপুর(যশোর) :
কেশবপুর উপজেলার সাতবাড়িয়া পশুহাট অবৈধভাবে দখল নিতে গিয়ে সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়কসহ ৩ জন পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। এ সময় ব্যবহৃত ১১টি মটরসাইকেল জব্দ করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন। জানা গেছে, ২০১৮ সালে সাতবাড়িয়া বাজারের পূর্বপাশে ২১ শতক জমির ওপর সাতবাড়িয়া পশুহাট স্থাপিত হয়। পরবর্তীতে আরও দেড় বিঘা জমি বর্গা নিয়ে হাটটি পরিচালিত হয়ে আসছে। এলাকার চেযারম্যান সামছুদ্দীন দফাদারের প্রচেষ্টায় মশিয়ার রহমান দফাদার, আব্দুর রশিদসহ ২০-২৫ জন ব্যক্তি পশুহাটটি গড়ে তোলেন। সপ্তাহের প্রতি শনি ও মঙ্গলবার এখানে হাট বসে। এ হাটে আশপাশের ২৫-৩০ গ্রামের মানুষের গরু, ছাগল বিকিকিনি হয়ে থাকে। প্রতিহাটে শতাধিক গরু ও ৬০ থেকে ৭০টি ছাগল বিক্রি হয়। ২০১৯ সালে হাটটি ডাকে আসার জন্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে কাগজপত্র জমা দেয়া হয় ।
সাতবাড়িয়া ইউপি চেযারম্যান ও পশুহাট কমিটির সভাপতি সামছুদ্দীন দফাদার বলেন, গত ৮ এপ্রিল পৌরসভার রামচন্দ্রপুর এলাকার লিটন গাজী ২৮ হাজার ৭০০ টাকায় সাতবাড়িয়া কাঁচা বাজারের ইজারা পান। সাতবাড়িয়া কাঁচা বাজারের সাথে পশু হাটের কোন সম্পর্ক না থাকার পরও গত ১৪ এপ্রিল সকাল ১০টায় লিটন গাজী ৩০-৩৫ জন যুবক নিয়ে পশুহাটটির দখল নিতে যায়। একপর্যায়ে হাট কমিটির লোকজন ও লিটন গাজীর লোকজন মুখোমুখি অবস্থান নিলে সংঘর্ষের রূপ নেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। নিবার সকালেও তারা ১০/১৫টি মটরসাইকেলযোগে পুনরায় ওই হাটের দখল নিতে যায়। খবর পেয়ে কেশবপুর থানার ওসির নের্তৃত্বে একদল পুলিশ সাতবাড়িয়া পশুহাট অবৈধভাবে দখলের চেষ্টার অভিযোগে কাঁচা বাজারের ইজারাদার লিটন গাজী, সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাসুম বিল্লাহ ও সাবেক মেম্বার মোহাম্মদ আলীকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাদের ব্যবহৃত ১১টি মটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
কেশবপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ(ওসি) জসীমউদ্দীন সাংবাদিদের জানান এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, হাটটি যাতে সরকারের ঘরে যায় তার জন্যে বর্তমান হাট কমিটি তৎপর রয়েছে। বর্তমান যারা হাটটি নিয়ন্ত্রণ করছে আপাতত তারাই থাকবে। লকডাউন উঠে গেলে দু‘পক্ষকে নিয়ে বসাবসি করে বিষয়টি সমাধার করা হবে।