যশোর অফিস :
একটি মামলায় যশোর কারাগার থেকে নির্বাচন করে জয় পেয়েছেন যশোর পৌরসভার এক নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সাহিদুর রহমান রিপন। বর্তমান সরকারের চলতি পৌরসভা নির্বাচনে কারাগার থেকে নির্বাচন করে জয় পেয়েছেন তিনি। তিনি এ নির্বাচনে সর্বোচ্চ চার হাজার ৭৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›িদ্ব জাকির হোসেন রাজিব পেয়েছেন দুই হাজার ১০৪ ভোট পেয়ছেন।
সাহিদুর রহমান রিপন যশোর সদর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য। যশোর পৌরসভার নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে (২৪ মার্চ) একটি হত্যা মামলায় সিআইডি পুলিশ রিপনকে গ্রেফতার করে। রিপনের গ্রেফতারে পর অভিযোগ উঠে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ এক নেতা এক মাদক ব্যবসায়ীকে কাউন্সিলর পদে পাস করানোর উদ্দেশ্যে জনপ্রিয় কাউন্সির প্রার্থী সাহিদুর রহমান রিপন জনপ্রিয়তায় ঈর্ষাণিত হয়ে এ কাÐ ঘটিয়েছিলেন।
এলাকাবাসীরা অভিযোগ, জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ ওই নেতার সাথে যশোরে মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ীদের রয়েছে দহরম-মহরম সম্পর্ক। শীর্ষ ওই নেতার ক্যাডার বাহিনী পুরো জেলায় এখনো টেন্ডার, চাঁদাবাজি, মাদক ও অস্ত্রসহ নানা অপরাধের সাথে যুক্ত।
তারা বলেন, শহরের এক নং ওয়ার্ডের এক সময়ের আলোচিত মাদক কারবারী আবু তালেব ক্রাসফায়ারে নিহত হওয়ার পর তার সা¤্রজ্য দখল নিয়েছে একনকার এক কাউন্সিলর প্রার্থী। তিনি মূলত জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ ওই নেতার আর্শিবাদপুষ্ট। এ নির্বাচনে চিহিৃত এ মাদক কারবারীকে কাউন্সিলর পদে বিজয়ী করতে ষড়যন্ত্র মূলকভাবে জনপ্রিয় যুবলীগ নেতা সাহিদুর রহমান রিপনকে গ্রেফতার করানো হয়।
এদিকে, রিপনের সমর্থকরা দাবি করেছেন, রিপনকে ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। শহরের মোল্লাপাড়ার হাফিজুর রহমান, আরশাদ আলী, আমতলার শহিদুল ইসলামসহ আরো অনেকে বলেন, গত বছর করোনা দুর্যোগ শুরু হলে সাহিদুর রহমান রিপন দলমত নির্বিশেষে সংকটে পড়া সব ধরণের মানুষের পাশে ছিলেন। অনেক অভাবী মানুষের তিনি সহযোগিতা করেন। এ কারণে বর্তমান সময়ে এক নং ওয়ার্ডে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা তিনি। তাকে ষড়যন্ত্র করে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরানোর যে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল তার জবাব দিয়েছে এলাকার মানুষ। রিপনের সমর্থকরা অভিযোগ করে বলেন, সাহিদুর রহমান রিপনের জনপ্রিয়তায় ঈর্শ্বানিত হয়ে শুধুমাত্র নির্বাচনী মাঠ থেকে দুরে রাখতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আজকের নির্বাচনের ফলাফলে এলাকার মানুষ তার দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়েছে।