নিজস্ব প্রতিনিধি:
জেলায় প্রায় ২২ লক্ষাধিক লোকের বসবাস। এরমধ্যে প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষাধিক হতদরিদ্র ভুমিহীন। অর্থনৈতিক ভাবে জেলার গুরুত্ব বেশী হলেও স্বাধীনতাত্তোর সময়ে সরকারি-বেসরকারি পৃষ্টপোষকতার অভাবে তেমন কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি। নানা দিক থেকে এই জেলা বরাবরই অবহেলিত। কৃষিতেই অধিকাংশ হতদরিদ্র ভুমিহীনদের জীবন জীবিকা নির্ভরশীল। তারা অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সরাসরি জড়িত থাকলেও এদেশের সমাজ ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার কারণেই নায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। যারা খাস জমি ভুমিহীনদের না দিয়ে বিত্তশালীদের হাতে তুলে দেয়, তারা আইনের দৃষ্টিতে অপরাধী। খাস জমির উপর ভুমিহীনদের আইনগত অধিকার রয়েছে। সেই অধিকার আদায় করার লক্ষ্যে বুধবার বিকাল ৪ টায় চালতেতলা মোড়ে এক প্রতিনিধি সভায় সাতক্ষীরা জেলা ভুমিহীন সমিতির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হয়।
‘সকল ভূমিহীনদের ঐক্য চাই, ঐক্য ছাড়া মুক্তি নাই’-এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা জেলা ভুমিহীন সমিতির ব্যানারে এ প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আব্দুস সাত্তার।
প্রতিনিধি সভায় বক্তারা বলেন, সরকারি খাস জমি জেলায় রয়েছে প্রায় ৭০ হাজার একর। এই জমি প্রকৃত ভুমিহীনদের পাওয়ার অধিকার সরকারি নীতিমালায় উল্লেখ থাকলেও বছরের পর বছর ওই জমির অধিকাংশই সাতক্ষীরার প্রভাবশালীদের দখলে। জমি উদ্ধার করতে না পারায় ও সরকারি বিভিন্ন নীতিমালার বিষয়ে অজ্ঞতার কারণে খাসজমি বন্দোবস্ত থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন হতদরিদ্র ভুমিহীনরা। সম্প্রতি মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া উপহার, প্রকৃত ভূমিহীনদের মাঝে পাকা ঘর বিতরণের কথা থাকলেও ঘর বিতরণের নামে কিছু অসৎ নামধারী ভুমিহীন নেতারা প্রকৃত ভুমিহীনদের কাছ থেকে ৬’শ থেকে ১ হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু এরা ওই ভুমিহীনদের ঘর দিচ্ছেন না। তাই প্রকৃত ভুমিহীনরা যাতে ওই ঘর এবং সরকারি খাস জমি পেতে পারে তার সুব্যবস্থা করার জন্য জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বক্তারা।
সাতক্ষীরা জেলা ভূমিহীন সমিতির সাধারণ সম্পাদক হোসেন মাহমুদ ক্যাপ্টেন এর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ডাঃ লোকাস পান্ডে, ডাঃ মোঃ মুনসুর রহমান, নুর জাহান সাদিয়া, মিন্টু দাশ, হাকিম, সুনীল প্রমুখ।