মনিরামপুর( যশোর)প্রতিনিধি :
যশোরের মনিরামপুরে মেধাবী কলেজ ছাত্র বোরহান হোসেনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দ্বিতীয় দিনেও পৌর শহর প্রকম্পিত ছিলো। কলেজ ছাত্রর সহপাঠীরা হত্যাকারীদের দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে এদিন ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, স্মারকলিপি প্রদান ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচী পালন করেন। জানা যায়, সোমবার দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত মনিরামপুর পৌর শহরের রাজগঞ্জ মোড়ে শতাধিক নারী-পুরুষ বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদান এবং বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয়। এ সময় তারা শ্লোগানে শ্লোগানে দাবি করেন, স্থানীয় এক ইউপি চেয়ারম্যানের কয়েকজন অনুসারী কলেজ ছাত্র বোরহানকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ইন্ধন দিয়েছেন।
এ ঘটনায় থানা পুলিশ একজনকে আটক করলেও মূল ইন্ধনদাতা ধরাছুয়ার বাইরে রয়েছে। সকল অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং অতি দ্রæত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। মনিরামপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে নেতৃত্বকারী নাহিদ ও সহপাঠী তহিদুজ্জামান সজিব জানায়, আমরা কোন দল বা গোষ্ঠীর নয়, আমরা আজ রাজপথে নেমেছি প্রিয় বন্ধু বোরহানের ন্যায় বিচারের দাবীতে। বোরহান হোসেন কলেজের একজন মেধাবী ও শান্ত প্রকৃতির ছাত্র ছিলো। আমরা জীবন থেকে আজ একজন প্রিয় বন্ধুকে হারালাম।
এভাবে আর কোন বন্ধুকে হারাতে এবং কোন মায়ের বুক খালি হোক এটা দেখতে চাইনা অপর দিকে দুপুর বেলায় রাজগঞ্জ মোড়ে মানবন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল সহকারে উপজেলা পরিষদের সমনে উপস্থিত হন শিক্ষার্থীরা। সেখানে কিছু সময় মানবন্ধন করার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ জাকির হাসানের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনে শহীদ মিনার চত্ত¡রে নিহত বোরহানের স্মরণে তার সহপাঠীরা মোববাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচী পালন করেন।
উল্লেখ্য বোরহান হোসেন, কিছুদিন পূর্বে সে শারিরীকভাবে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে এবং মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। শনিবার উপজেলা খালিয়া এলাকায় বেড়াতে গেলে দিন-দুপুরে একদল দুষ্কৃতিকারী তাকে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখমসহ গুরুতর আহত করে। পুলিশ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে, হাসপাতালে ভর্তি করলে রোববার সকালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় হত্যাকারীদের দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবীত রোববার প্রথম দিনে পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও থানা ঘেরাও কর্মসূচী পালন হয়।
s