হোম অন্যান্যসারাদেশ খুলনায় কলেজ ছাত্র হত্যা মামলায় মা-ছেলের যাবজ্জীবন

খুলনা অফিস :

খুলানার ডুমুরিয়ায় কলেজ ছাত্র সুদর্শন রায় (২৫), হত্যা মামলায় মা-ছেলের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলার অপর এক আসামীকে খালাস দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে খুলনার অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ ম আদালতের বিচারক মোঃ ইয়ারব হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, ডুমুরিয়ার বিপুল বিশ্বাসের স্ত্রী দ্রৌপদী বিশ্বাস (৪৫) ও তার ছেলে কংকন বিশ্বাস। এ মামলায় বিপুল বিশ্বাস নামক অপর একজনকে খালাস দেওয়া হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, দন্ডিতদের মধ্যে দ্রৌপদী বিশ্বাসকে পেনাল কোডের ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডের সাথে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড এবং ২০১ ধারায় ৩ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৩ মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এছাড়া অপর আসামী কংকন বিশ্বাসকে পেনাল কোডের ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডের সাথে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। আর বিপুল বিশ্বাসকে মামলার দায় থেকে খালাস দেওয়া হয়। এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌশুলী ছিলেন এম ইলিয়াস হোসেন। আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন সন্দীপ কুমার দাশ।

মামলার বাদী দীনবন্ধু মন্ডল এজাহারে উল্লেখ করেন,খুলনার বটিয়াঘাটার সুকুমার রায়ের ছেলে সুদর্শন রায় (২৫) ছোটবেলা থেকেই তার মামা দীনবন্ধু মন্ডলের বাড়ি ডুমুরিয়ার বড়ডাঙ্গা এলাকায় বসবাস করতো। ২০২০ সালে ২০ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার কথা বলে সুদর্শন রায় বাড়ি থেকে বের হয় রাত সাড়ে ১১ টার দিকে। রাত সোয়া ১২ টার দিকে ডুমুরিয়ার মির্জাপুর তিন রাস্তার মোড়ে কালভার্টের অদুরে স্থানীয় তুহিন বিশ্বাসের সাথে সুদর্শনের কথাবার্তা হয়। এরপর সে একা একা মির্জাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দিকে রওনা হয়।

সেখানে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আসামীরা সুদর্শনকে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় এবং পরস্পর যোগসাজসে তাকে হত্যা করে। পুলিশকে সংবাদ দিলে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় নিহত সুদর্শন রায়ের মামা দীনবন্ধু মন্ডল বাদী হয়ে ২০২০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ডুমুরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন (নং-২৩)।
মামলার বাদী দীনবন্ধু মন্ডল বলেন, রায়ে দ্রৌপদী বিশ্বাস (৪৫) ও তার ছেলে কংকন বিশ্বাসের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। আদালতের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। তবে ফাঁসির প্রত্যাশা করেছিলাম।

s

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন