মাগুরা অফিস :
মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপতালে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে আজ রবিবার থেকে ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টায় এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর। মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় টিকাদান ক্যাম্পে প্রথম ভ্যাকসিন নেন ২৫০ শয্যা হাসপতালের তত্ত¡াবধায়ক ডাক্তর স্বপন কুমার কুন্ডু।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম, পুুলিশ সুপার মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুন্ডু, মাগুরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাক্তার মো.দীন-উল-ইসলাম, সিভিল সার্জন ডাক্তার শহীদুল্লাহ দেওয়ান, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল ফাত্তাহ, পৌর মেয়র খুরশীদ হায়দার টুটুল, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু নাসির বাবলু, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার রেজোয়ান আহমেদ, মাগুরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শামীম খান প্রমুখ। প্রথমদিনে ১৫০জনকে টিকা দেওয়া হচ্ছে।
মাগুরা সিভিল সাজর্ন ডাক্তার শহীদুল্লাহ দেওয়ান জানান, সারা দেশের সাথে মাগুরাতেও রবিবর থেকে করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জেলার সদর হাসপাতলে ৮ টি বুথ ও বাকি ৩ উপজেলায় ৩ টি করে মোট ১৭ টি বুথে একযোগে এ ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। প্রতিকেন্দ্র মোট ২ জন করে স্বাস্থ্যকর্মী ও ৪ জন করে স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। জেলার চার উপজেলায় ভ্যাকসিন দেয়ার লক্ষে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৩৬৩ জন্য তালিকা পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগের ৭৪৫ জন, সরকারি প্রতিষ্ঠান ১ হাজার ৮৬৩ জন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ৭৫৫ জন। প্রথমদিনে ১৫০ জনকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। নিবন্ধনের মাধ্যমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্বাস্থ্যকর্মীসহ সম্মুখসারির করোনা যোদ্ধাদের প্রথম পর্যায়ে ভ্যাকসিন দেয়া হবে। বাকিদের দেয়া হবে পর্যায়ক্রমে। জেলা সদরের পাশাপাশি শ্রীপুর, শালিখা ও মহম্মদপুর উপজেলাতেও ভ্যাকসিন দেয়ার কার্যক্রম চলছে।
ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর গণমাধ্যমকর্মী দেলোয়ার হোসেন জানান, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সেবিকারা অত্যন্ত যতেœর সাথে ভ্যাকসিন দিয়েছেন। ভ্যাকসিন নেয়ার পর তার শরীরে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় নি। তিনি সবাইকে নিবন্ধনের মাধ্যমে টিকা নেয়ার আহবান জানান।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জানুয়ারী মাগুরায় ২৪ হাজার ডোজ করোনা ভ্যাকসিন এসে পৌঁছায়। ভ্যাকসিনগুলো নির্দিষ্ট তাপমাত্রা বজায় রেখে সিভিল সাজর্ন কার্যালয়ের ইপিআই সেন্টারে রাখা হয়।