ষ্টাফ রিপোর্টার,কেশবপুর (যশোর)
কেশবপুরের গৌরিঘোনা ইউনিয়নের আগরহাটি গ্রামে জমি জোরপূর্বক জবর দখল করে ভাটা নির্মান করে অবৈধভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালী হুমায়ন কবির। এবিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোন ফল পাচ্ছেন না জমির মালিক শিমুল বিশ্বাস। প্রভাবশালী হুমায়ন কবির ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অসাধু ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে মিথ্যা মামলা দিয়ে শিমুল বিশ্বাসসহ জমির মালিকদের হয়রানি করে আসছে বলে অভিযোগ।
জানা গেছে, ডুমুরিয়া উপজেলার চহেড়া গ্রামের ফকির চাঁদ বিশ্বাসের ছেলে শিমুল বিশ্বাস ২০১২ সালে তার ৪৭ শতক আগরহাটি মৌজার পৈতৃক সম্পত্তিতে একই উপজেলার সাহাপুর গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে শাকিল আমিনকে মেসার্স জাকিব ব্রিকস করার জন্য ডিড করে দেয়। শাকিল আমিন ভাটাটি পরিচালনা করতে ব্যর্থ হলে ওই ডিড বুনিয়াদে বেতাগী উপজেলার হাই স্কুল রোড এলাকার আব্দুল মান্নান হাওলাদারের ছেলে ইমদাদুল হক, সোহেল ও রাজাপুর উপজেলার পালট গ্রামের মৃত শাহ আলম হাওলাদারের ছেলে মারুফ হোসেনের নিকট হস্তান্তর করে।
তারা এমটিসিবি নামে ভাটাটি পরিচালনা করতে থাকে। তারাও ভাটাটি পরিচালনা করতে ব্যর্থ হলে ২০১৬ সালে কেশবপুর উপজেলার আগরহাটি গ্রামের শিমুল বিশ্বাস, অসীম কুমার দে ও হাতেম আলী খানের ছেলে লিয়াকত আলী খানের নিকট হস্তান্তর করে। ওই অসীম কুমার দে ও লিয়াকত আলী ষড়যন্ত্রমুলকভাবে শিমুল বিশ্বাসকে মালিকানা অংশ থেকে বাদ দিয়ে অসীম কুমার দে নিজে একক মালিকানা করে নেয়। ২০১৯ সালে ওই ভাটাটি খুলনা খালিশপুরের রশিদ মিয়ার ছেলে হুমায়ন কবিরের নিকট পূর্বের চুক্তিপত্র অনুযায়ী হস্তান্তর করে।
হুমায়ন কবির ভাটাটি বর্তমানে হামজা ব্রিকস নামে অবৈধভাবে পরিচালনা করছে। যার মেয়াদ ২০২০ সালে শেষ হয়ে গেছে। সম্প্রতি, শিমুল বিশ্বাস তার নামে জমি দখল পাইবার জন্য আদালতে মামলা করলে বিজ্ঞ আদালত তার পক্ষে রায় প্রদান করেন। এরপরও হামজা ব্রিকসের মালিক অবৈধভাবে ভাটাটি পরিচালনা করে আসছে। ডিড শেষ হবার পর জমি দখলে নিতে গেলে ভাটা মালিকের সন্ত্রাসী বাহিনীরা জমির মালিকদের মারপিট করে তাড়িয়ে দিচ্ছে।
ওই সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা জমির মালিকদের বাড়িতে গিয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান অব্যহত রেখেছে। ভাটার বৈধ কাগজপত্র, জমির ডিড না থাকার অপরাধে সম্প্রতি ভ্রাম্যমান আদালত ভাটা মালিককে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। এতেও থেমে থাকেন নি প্রভাবশালী হুমায়ন কবির। এলাকার প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে হুমায়ন কবির জমির মালিক শিমুল বিশ্বাসসহ অন্যান্য মালিকদের হয়রানি করার লক্ষে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। বর্তমানে জমির মালিকরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। এবিষয়ে জমির মালিকরা প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে হুমায়ুন কবেিরর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য প্রকাশ করা হয়নি।