হোম অন্যান্যসারাদেশ সীমান্তে চোরাচালান ধরা পড়ে মামলাও হয়, মেলে না আসামি

সীমান্তে চোরাচালান ধরা পড়ে মামলাও হয়, মেলে না আসামি

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 99 ভিউজ

সংকল্প ডেক্স :

সীমান্ত দিয়ে স্বর্ণ, ইয়াবা, ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ পণ্য চোরাচালানের ঘটনা ঘটছে। টহল এবং অভিযানের মাধ্যমে প্রায় সময় এসব পণ্য জব্দ করেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। এর বিরুদ্ধে মামলাও হয়। কিন্তু বেশিরভাগ সময় ধরা পড়ে না চোরাকারবারীরা।

বাংলাদেশের যে কয়টি সীমান্ত দিয়ে চোরাচালানের ঘটনা ঘটে তার মধ্যে একটি রাজশাহীর চর খানপুর। চলতি বছরের প্রথম ১১ মাসে (জানুয়ারি-নভেম্বর) ভারত থেকে এই অঞ্চল দিয়ে পাচার হওয়ার সময় ৬ লাখ ২৯ হাজার ৬৯০ টাকা মূল্যের অবৈধ পণ্য ধরেছে বিজিবি। এসব ঘটনায় করা হয়েছে ১৪টি মামলা। তবে একটিতেও আসামি পাওয়া যায়নি।

বিজিবর তথ্য অনুযায়ী, শুধু এপ্রিল মাসে সীমান্তে কোনো অবৈধ পণ্য জব্দের ঘটনা ঘটেনি। তবে মে মাসে সব থেকে বেশি চোরাচালানের পণ্য আটক করে খানপুর বিজিবি। মাসটিতে ১ লাখ ৪৭ হাজার টাকার সমপরিমাণ অবৈধ পণ্য জব্দ করা হয়। এর পরের মাস থেকে অবৈধ পণ্য ধরা পড়ার পরিমাণ কমে আসে। সর্বশেষ নভেম্বর মাসে ১ লাখ ১৫ হাজার ৪১০ টাকার পণ্য আটক করে বিজিবি।

এর আগে বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ৩৭ হাজার ৬১০ টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ১০ হাজার ৫০০ টাকা এবং মার্চে ১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকার পণ্য জব্দ করা হয়। অন্যদিকে জুনে ৫ হাজার ২৬০ টাকা, জুলাইতে ৪০ হাজার ৫০০ টাকা, আগস্টে ৫২ হাজার ১০ টাকা, সেপ্টেম্বরে ৫৭ হাজার ৯০০ টাকা এবং অক্টোবরে ৫১ হাজার টাকার অবৈধ পণ্য জব্দ করা হয়েছে।

এসব চোরাচালানের অবৈধ পণ্য জব্দের ঘটনায় জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ, মে, জুন, জুলাই, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে একটি করে মামলা হয়েছে। তবে আগস্টে মামলা হয়েছে দুটি এবং নভেম্বরে হয়েছে চারটি। প্রতিটি মামলাই হয়েছে আসামি ছাড়া।

তিনি আরও বলেন, মাদক চোরাকারবারিরা নিত্য নতুন পন্থা উদ্ভাবন করছে। বার্মিজ স্যান্ডেলে করে ইয়াবা নিয়ে আসছে, আমরা ওটাও ধরছি। আমাদের প্রশিক্ষিত কুকুর ব্যবহার করছি এটা ধরার জন্য। আমরা কিছুদিন আগে খবর পেলাম গরুর পেটে করে মাদক পাচার হচ্ছে। কিন্তু সব গরুর পেট কেটে তো মাদক পরীক্ষা সম্ভব না। এরপরও আমরা তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।

s

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন