হোম অন্যান্যসারাদেশ সাতক্ষীরার জজ কোর্টের পিপি এ্যাড. আব্দুল লতিফের নানা অনিয়ম-দূর্নীতির প্রতিবাদ দাবিতে মানববন্ধন

সাতক্ষীরার জজ কোর্টের পিপি এ্যাড. আব্দুল লতিফের নানা অনিয়ম-দূর্নীতির প্রতিবাদ দাবিতে মানববন্ধন

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 98 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিনিধি :

সাতক্ষীরার জজ কোর্টের পিপি এ্যাড. আব্দুল লতিফের নানা অনিয়ম-দূর্নীতির প্রতিবাদে এবং তাকে দল ও জজ কোর্টের পিপিশিপ থেকে অপসারনের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রি বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। সদর উপজেলার দক্ষিণ কামারবায়সা গ্রামবাসির আয়োজনে সোমবার বেলা ১১ টায় সাতক্ষীরা কালেক্টরেট চত্বরে উক্ত মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, দক্ষিণ কামারবায়সা গ্রামের আকবর আলী, পিপি আব্দুল লতিফের বড় ভাই আব্দুল আহাদ, ভাইপো আব্দুল গণি, মজনু, জরিনা খাতুন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, এ্যাড. আব্দুল লতিফ বিডিআর এ কর্মরত অবস্থায় দূর্ণীতির দায়ে বরখাস্ত হন। পরবর্তীতে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে সনদ সংগ্রহ করে আইনজীবী হন। তিনি ভারতীয় গরুর দালালীসহ মাদক ও সোনা পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি ২০১৩ ও ১৪ সালে কামার বায়সা গ্রামের কমপক্ষে ৪০ জনকে নাশকতা মামলায় ধরিয়ে দিয়ে তাদের আবার ছাড়িয়ে নেওয়ার নামে কমপক্ষে ৬০ লাখ টাকাআত্মসাৎ করেছেন। তার ভাইপোর ২০টি ট্রলি সড়কে চালানোর জন্য তাকে ট্রলিপিছু প্রতিদিন ৩০ টাকা করে ঘুষ দিতে হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও নৈশ প্রহরী কাম দপ্তরী নিয়োগ দেওয়ার নামে কমপক্ষে ১৫ জনের কাছ থেকে মাতা পিছু চার থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা তিনি নিয়েছেন। ঝাউডাঙা ডিগ্রী কলেজ জাতীয়করণের নামে ও শিক্ষক কর্মচারিদের এমপিও ভুক্তির নামে তিনি ও তার ছেলে ওই কলেজের শিক্ষক রাসেলের মাধ্যমে স্থানীয় সংসদের বরাত দিয়ে আড়াই থেকে তিন কোটি টাকা লুটে নিয়েছেন। এসব টাকা দিয়ে তিনি সম্প্রতি শহরের রসুলপুরে বহুতল বাড়ি বানিয়েছেন।

ব্যাংকে জমিয়েছেন অঢেল টাকা। তারা আরো বলেন, ভাইদের ন্যয্য জমি বুঝিয়ে না দেওয়ার প্রতিবাদ করায় তার নির্দেশে তার ছেলে রাসেলের নেতৃত্বে বড় ভাই, ভাবি ও তিন ভাইপোকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। মামলা দিলেও রাসেল, আমের আলী, তার ছেলে রিপন ও শরিফুলকে পুলিশ ধরছে না। তার অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। আব্দুল লতিফ বিএনপি’র সময় বিএনিপি, জাতীয় পার্টির সময় জাতীয় পার্টিও করেছেন।

২০০৯ সালে কৌশলে তিনি আওয়ামী লীগে ঢুকে বর্তমানে বিশেষ সুবিধায় জেলা কমিটির পদ নিয়ে ও দলীয় ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে আদালত পাড়া ও গ্রামে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। তাকে দল ও পিপি’র পদ থেকে বহিষ্কার করা না হলে সাধারণ মানুষ, বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। মানববন্ধন শেষে তারা দূর্ণীতিবাজ আব্দুল লতিফকে দল ও পিপি’র পদ থেকে অপসারনের দাবিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ বদিউজ্জামানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ নিজেকে নির্দোষ দাবী করে বলেন, একটি মহল তার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য একের পর এক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন