সংকল্প ডেস্ক :
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্ত্রীকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ওই স্ত্রী বর্তমানে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
শুক্রবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনাটি ঘটে। রোববার (২২ নভেম্বর) বেলা ১১টায় আহত স্ত্রী সেলিনা বেগম (২৫) বাদী হয়ে স্বামী আব্দুস কুদ্দুস শাওনকে প্রধান আসামি করে চারজনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আট বছর আগে এক লাখ টাকা যৌতুক ধার্য করে সেলিনা বেগমের বিয়ে হয় আব্দুস কুদ্দুস শাওনের সঙ্গে। এরপর তাদের ঘর আলোকিত করে জন্ম নেয় ফুটফুটে পুত্রসন্তান। চার বছর বয়সের পুত্রসন্তান ও স্বামীকে নিয়ে ভালোই চলছিল সংসার। এরই মাঝে হঠাৎ শাওন আবারো সেলিনাকে বাবার বাড়ি থেকে এক লাখ টাকা নিয়ে আসতে বলেন। সেলিনা এতে অপারগতা প্রকাশ করলে তার ওপর নেমে আসে অমানবিক নির্যাতন।
শুক্রবার দুপুরে সেলিনাকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিতে থাকেন শাওন। এতেও রাজি না হলে অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে সেলিনার ওপর অতর্কিত হামলা চালান। এ সময় তার চুলের মুটি ধরে টানাহেঁচড়া করেন এবং লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরে স্থানীয়রা সেলিনাকে আহত অবস্থায় বাড়ি বাইরে পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আব্দুস কুদ্দুস শাওন দাবি করেন, যৌতুকের কারণে তাকে মারধর করা হয়নি। ঘরে থাকা মাছ বিড়াল খেয়েছে বলে তাকে মারধর করা হয়েছে।
হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকা আহত সেলিনা বেগম বলেন, ‘বিয়ের সময় বাবা এক লাখ টাকা যৌতুক দেন। এরপরও ও আমাকে কারণে-অকারণে প্রায় মারধর করে। এখন আবারো এক লাখ টাকা আনতে বলে। আমি দিতে রাজি না হলে আমাকে মারধর করে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, ওই গৃহবধূর পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।