হোম অন্যান্যসারাদেশ যশোরে সুদের ১০ লাখ টাকা সুদ দেবাব পরে মুল টাকা দাবি করায় মোস্তফা খুন

যশোরে সুদের ১০ লাখ টাকা সুদ দেবাব পরে মুল টাকা দাবি করায় মোস্তফা খুন

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 83 ভিউজ

যশোর অফিস :

যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটিতে কাঠ ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফাকে সুদের কারবারে আর্থিক লেনদেনের কারণে খুন করা হয়েছে। এ খুনের সাথে দুইজন জড়িত ছিলেন। বুধবার রাতে পুলিশে গোলাম মোস্তফাকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র (ছুরি) উদ্ধার করেছে। একই সাথে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আটক আব্দুল্লাহ ও শহিদুলকে নিয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার ও খুনের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন, কি কারণে এবং কারা এ খুনের সাথে জড়িত সে ব্যাপারে পুলিশ প্রেসব্রিফিং বিস্তারিত জানান পূলিশ সুপার আশরাফ হোসেন। আব্দুল্লাহ চুড়ামনকাঠি গ্রামের উত্তরপাড়ার আব্দুর রহমানের ছেলে আর শহিদুল ইসলাম যশোর সদর উপজেলাহ শাখারী গাতী গ্রামের মাজেদ মোল্যার ছেলে। সে পেশায় বাস চালক।

যশোরের পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন জানান, চুড়ামনকাঠি এলাকা কার বাগডাঙ্গা গ্রামের কাঠ ব্যাবসায়ী গোলাম মোস্তফা গত ২৪ অক্টোবর বিকাল ৪টার দিকে বাড়ি থেকে ডেকে নেওয়া হয়। রাত সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার ভেতর ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা চুড়ামনকাঠি ভৈরব নদীর পাড়ে খুন হয়। ২৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তার লাশ নদীতে ভাসতে দেখে লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সুপার আরো জানান, ঘটনার দিন আটক আব্দুল্লাহ আল মামুন তার বন্ধু সহিদুল ইসলামকে ডেকে নিয়ে মোটর সাইকেল যোগে খুলনা বাসস্টান্ড থেকে চুড়ামনকাঠি বাজারে নিয়ে আসে। এসে আব্দুল্লাহ আল মামুন গোলাম মোস্তফা মোবাইল ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসে। বলে যে সহিদুল একটা বড় কাঠ ব্যাবসায়ী ১১শ’ টাকা করে মেহগনী কাঠ কিনবে। এরপর মোস্তফা চুড়ামনকাঠি বাজারে আসে। নিহত গোলাম মোস্তফা ও তার দুই খুনি আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সহিদুল ইসলাম সলুয়ার বাজারে যায়। সেখানে তারা ফেন্সিডিল ও গাজা সেবন করে।

এরপর তারা সন্ধার পরে ভৈরব নদীর পাড়ের উচু জায়গয় মেহগনী বাগানে গাঁজা খেতে বসে। এক পর্যায়ে আব্দুল্লাহ আল মামুন তার কাছে থাকা ছুরি দিয়ে গোলাম মোস্তফার গলায় পোচ মারে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্য ধস্তাধস্তি হলে নদীর পাড় থেকে নদীর নিচে পড়ে যায়। এসময় সহিদুল ইসলাম গোলাম মোস্তফার হাত পা চেপে ধরে। আব্দুল্লাহ আল মামুন গোলাম মোস্তফার গলায় পোচ মেরে হত্যা করে। আব্দুল্লাহর স্বীকারোক্তিতে বাড়ির একপাশে লুকিয়ে রাখা ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
আব্দুল্লাহ ও শহিদুল হত্যাকান্ডে জড়িত ছিলেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন