নিজস্ব প্রতিনিধি :
বহুবিবাহের নায়ক খুলনা আর আর এফের পুলিশ কনস্টেবল মহাসিন কবির। একের পরে এক বিয়ে করে শশুর বাড়ি থেকে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এসব নারীদের স্বামীর জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে যেন চোখের পানি শুকিয়ে গেছে। আজ পর্যন্ত কোন বিবাহিত স্ত্রী স্বামীর বাস্তু ভিটায় ঠাঁই পাইনি। সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী ঝাপাঘাট গ্রামের মোঃ মোসলেম আলীর একমাত্র ছেলে মহাসিন কবির। আড়াই বছর আগে মহাসিন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদেয়। এরপর শুরু হয় তার প্রতারণার অভিনব কৌশল।
কলারোয়া উপজেলার পানকৌড়ি গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলামের কন্যা কলেজ ছাত্রী নাজমুন্নাহার পলির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মহাসিন কবির। বিয়ের পর চাকরিতে ঝামেলা হচ্ছে বলে তার শশুরের কাছথেকে হাতিয়ে নেয় প্রায় তিন লাখ টাকা। এর কিছুদিন পর একই উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের এক নিন্ম মধ্যবৃত্ত কৃষক আব্দুল লতিফের কলেজ পড়–য়া কন্যা রাবেয়া বসরী শুভাকে বিয়ে করে মহাসিন। সেখান থেকেও চাকরির ঝামেলার কথা বলে চার লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। মেয়ের সুখের চিন্তা করে শুভার পিতা ফসলি জমি বন্ধক রেখে জামাতাকে টাকা দিতে বাধ্য হয়।
সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকার বাসিন্দা আব্দুল আহাদের কন্যা কলেজ ছাত্রী সাবিনা ইয়াসমিন পপির সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে মহাসিনের পরিচয় হয়। সাবিনা ইয়াসমিন পপিকে বিয়ে করে তার পরিবারের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় কয়েক লাখ টাকা। বিয়ের বিষয়টি ফাঁস হয়ে গেলে চাকরি চলে যাবে এ কথা বলে কোনো স্ত্রীকে মহাসিন তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়নি।
কলারোয়া উপজেলার জয়নগর গ্রামের এক কলেজ ছাত্রীর সাথে মহাসিনের মোটা অংকের যৌতুকে বিয়ে ঠিক হয়। কিন্ত কনের পরিবার মহাসিনের প্রতারণার বিষয় জানতে পারলে ওই বিয়ে ভেঙ্গে যায়। বর্তমানে খুলনা শহরের শিরোমনি এলাকার কাকলি নামের এক নারীর সাথে বিয়ে করে মহাসিন সংসার করছে।
মহাসিনের তৃতীয় স্ত্রী সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকার বাসিন্দা কলেজ ছাত্রী সাবিনা ইয়াসমিন পপি তার স্বামী ও শশুরের বিরুদ্ধে আদালতে যৌতুক আইনে মামলা দায়ের করেছে। আদালত মামলার আসামীদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে।