নিজিস্ব প্রতিনিধি :
ভাইয়ের সংসারে বেকার যুবক রাইহানুল ইসলাম প্রতিনিয়ত মানসিক নির্যাতনের শিকার হতো। এমনকি ভাই ও ভাবি খাওয়ার জন্য তাকে খোটাও দিত। ঘটনার দিন রাতে ভাই তাকে গালিগালাজ করে। যার কারণে রাইহানুল ভাই ও ভাবিকে হত্যার পরিকল্পনা করে। তাই কোমল পানীয়ের সাথে চেতনা নাশক ঔষধ মিশিয়ে সবাইকে খাওয়ানো হয়। এরপর রাতে ঠান্ডা মাথায় ধারালো চাপাতি দিয়ে আপন ভ্রাতা হ্যাচারি ব্যবসায়ী শাহিনুর ইসলামকে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করা হয়। ভাবি সাবিনা খাতুনকে হত্যা করার সময় তাদের দুই শিশু সন্তান জেগে উঠলে তাদের কেও হত্যা করে রায়হানুল।
এসময় বেঁচে যায় তাদের চার মাস বয়সের শিশু মারিয়া। তিনি বলেন, রায়হানুলের দেয়া তথ্যমতে ঘটনাস্থল হেলাতলা ইউনয়নের খলিসা গ্রামের একটি পুকুর থেকে আজ বুধবার দুপুরে এ হত্যার কাজে ব্যবহৃত একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, রায়হানুলকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদানের জন্য আজ বিকালে সাতক্ষীরা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গত ১৫ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) ভোর রাতে কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের খলিসা গ্রামের শাহাজান আলীর ছেলে মৎস্য হ্যাচারী মালিক শাহিনুর, তাঁর স্ত্রী সাবিনা খাতুন, ছেলে সিয়াম হোসেন মাহী ও মেয়ে তাসনিম সুলতানাকে জবাই করে হত্যা করে দূর্বৃত্তরা। এ সময় নারকীয় এই হত্যাকান্ডের মধ্যে ঘাতকদের হাত থেকে জীবনে বেঁচে যায় তাদের চার মাসের শিশু কন্যা মারিয়া সুলতানা।
অপর দিকে, সি আই ডি পুলিশ এ মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসাবে কলারোয়া উপজেলার খলিসা গ্রামের আবদুর রাজ্জাক, একই গ্রামের আবদুল মালেক ও ধানঘরা গ্রামের আসাদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।