হোম অন্যান্যসারাদেশ চরফ্যাশনে মুদি ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে যুবতি ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

চরফ্যাশনে মুদি ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে যুবতি ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 116 ভিউজ
 (ভোলা) প্রতিনিধি:
চরফাশনে বিয়ের প্রলোভনে এক যুবতীকে একাধিকবার ধর্ষনের অভিযোগে চরফ্যাশন থানায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ওই যুবতী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলার বিবরণ এবং ভুক্তভোগীর ভাষ্যমতে, জিন্নাগড় ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ডের ফজলুর রহমান’র ছেলে মুদি ব্যবসায়ী জামাল  পার্শ্ববর্তী আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ১৮বছরের ওই যুবতিকে বিয়ের প্রলোভনে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে একাধিক বার ধর্ষন করে।
জিন্নাগড় ইউনিয়ন ও আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের শিমান্তবর্তী এলাকায় জামালের মুদি দোকান থেকে সদাইপাতি ক্রয়ের সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক ঘটে ওই যুবতির সঙ্গে। শিমান্তবর্তী এলাকায় ওই যুবতীদের বসত বাড়ির সামনে দিয়ে জামাল আসা যাওয়া করত। এরই ধারাবাহিকতায় ভুক্তভোগী যুবতীর জেলে পিতা নদীতে থাকার সুযোগে তাদের বাড়িতে গিয়ে জামাল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় দুই মাস ধরে ওই যুবতিকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে বলেও মামলার এজহারে উল্লেখ করেন ভুক্তভোগী।
ঘটনার দিন গত শুক্রবার রাত ১০টায় যুবতিকে তাদের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের কথা বলে জোরপূর্বক আবারও ধর্ষণ করে মুদি ব্যবসায়ী জামাল। এসময় যুবতির ডাক চিৎকারে তার মা সহ প্রতিবেশিরা চলে আসলে জামাল কৌশলে পালিয়ে যায় বলে সূত্রে জানা যায়। এঘটনার পরে ওই যুবতি ও তার পরিবার বিয়ের দাবিতে জামালের পরিবারকে বিষয়টি জানালেও তারা গুরুত্ব না দিয়ে জামালকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করায় জামালের পিতা ফজলুর রহমান ও তার মা পারভিন বেগমকে আসামি করে চরফ্যাশন থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দিলে তা রুজু করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৫সেপ্টেম্বর) দুপুরে চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জ মনির হোসেন মিয়া জানান, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মুদি ব্যবসায়ী জামাল কর্তৃক যুবতিকে ধর্ষণের অভিযোগ দিলে নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণে সহায়তার অপরাধে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত জামালকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। ভুক্তভোগী ওই যুবতীকে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন